ভেঙে দেওয়া হচ্ছে অভিযুক্তদের অবৈধ বাড়ি। ছবি—টুইটার।
চুরির ‘শাস্তি’ দিতে মধ্যপ্রদেশের নীমচ জেলায় এক আদিবাসী ব্যক্তিকে লরির পিছনে বেঁধে টেনে নিয়ে গিয়ে খুনের ঘটনা স্তম্ভিত করেছিল দেশবাসীকে। সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল স্থানীয় জেলা প্রশাসন। রবিবার অভিযুক্তদের বহু অবৈধ সম্পত্তি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
চুরি করেছেন— এই অভিযোগে ৪৫ বছরের কানহাইয়ালাল ভীলকে মারধর করা হয় গত বৃহস্পতিবার। তার পর তাঁকে লরির সঙ্গে বেঁধে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর নিগ্রহকারীরা পুলিশকে ফোন করে জানান, তাঁরা ‘চোর’ ধরেছেন। পুলিশ এসে কানহাইয়ালালকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। এর পর জেলা হাসপাতালে নির্যাতিতকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এর পরই নিগ্রহকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় জেলা প্রশাসন। নিগ্রহকারীদের মধ্যে ছিলেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী মহেন্দ্র গুর্জর। একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, জেসিবি মেশিন দিয়ে তাঁর অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এই ঘটনায় আট জনকে চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।