দু’বছর আগের ঘটনায় মন্তব্য করল মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট। প্রতীকী ছবি।
রাগের মাথায় বলা কোনও কথাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা হিসাবে ধরে নেওয়া যায় না, একটি মামলায় সম্প্রতি এমনটাই মন্তব্য করেছে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট। বিচারপতি অভিযুক্তদের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
দু’বছর আগে এক কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ৩ জনের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম মুরাত লোধি। তিনি মধ্যপ্রদেশের দামোহ জেলার পাথারিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন মুরাত।
ওই কৃষক মৃত্যুর আগে সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছিলেন, কেন তিনি এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ভুপেন্দ্র লোধি নামের এক ব্যক্তি তাঁকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন এবং নানা ভাবে হেনস্থা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করলে রাজেন্দ্র লোধি এবং ভানু লোধি অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেন কৃষককে। এর পরেই কীটনাশক খান তিনি।
এই ঘটনার উপর ভিত্তি করে রাজেন্দ্র, ভূপেন্দ্র এবং ভানুর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু করে পুলিশ। নিম্ন আদালত থেকে তাঁরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি সুজয় পাল এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের উল্লেখ করেন। তিনি জানান, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া একটি মানসিক বিষয়। পরিকল্পনামাফিক এবং ইচ্ছাকৃত ভাবে কাউকে মৃত্যুতে উৎসাহ দিলে তা আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া। কিন্তু রাগের মাথায় কাউকে কিছু বললে, পরে যদি সেই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন, তা প্ররোচনা হিসাবে গণ্য হতে পারে না।