গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ
ধর্ষণ করলেও নাবালিকাকে প্রাণে মারেননি তিনি। ধর্ষকের এমন ‘দয়ালু’ মনোভাবের জন্য তাঁর সাজা কমিয়ে দিল মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট। অপরাধীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা কমিয়ে ২০ বছর কারাবাসের সাজা শোনাল উচ্চ আদালতের ইনদওর বেঞ্চ।
শনিবার ধর্ষণের ওই মামলায় বিচারপতি সুবোধ অভয়ঙ্কর এবং বিচারপতি এসকে সিংহের ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে, ধর্ষণের মতো অপরাধ ‘বীভৎস’ হলেও চার বছরের নাবালিকাকে প্রাণে মারেননি অপরাধী। ‘দয়া’ দেখিয়ে তাকে যেতে দিয়েছেন। এই বিষয়টি নজরে রেখে অপরাধীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা কমিয়ে তাঁকে ২০ বছর সশ্রম কারাবাসের সাজা দেওয়ার পক্ষপাতী আদালত।
সংবাদমাধ্যম ‘লাইভ ল’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাজা কমানোর শুনানি চলাকালীন অপরাধী দাবি করেন, তাঁকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্টও আদালতে জমা করা হয়নি। অপরাধীর আরও যুক্তি, তিনি ইতিমধ্যেই বেশ কিছুটা সময় জেলে থেকেছেন। তাই, তাঁর সাজা কমানোর আর্জি মঞ্জুর করা হোক।
তার প্রেক্ষিতে আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, নারীদের সম্মান করেন না অপরাধী। তাঁর মধ্যে শিশুদের প্রতি যৌন অপরাধের প্রবণতাও রয়েছে। এ সব যুক্তিতে এই মামলায় অপরাধীর সাজা কমানো যায় না। তবে, অপরাধী নাবালিকাকে প্রাণে মারেননি বলে তাঁর সাজা কমিয়ে আনা যেতেই পারে। এমনটাই ছিল আদালতের যুক্তি।