হাই কোর্টের নির্দেশ দেয়, মধ্যপ্রদেশে রাজ্যের ডিজিপিকে ওই জরিমানা দিতে হবে। —ফাইল চিত্র।
ইউরিয়া সারকে ভেবেছিলেন নিষিদ্ধ মাদক। সারভর্তি বস্তা-সহ যুককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। দীর্ঘ দিন জেল খেটেছেন ওই যুবক। তাঁর দায়ের করা মামলায় পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিককে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা করল মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট। শুক্রবার হাই কোর্টের নির্দেশ দেয়, মধ্যপ্রদেশে রাজ্যের ডিজিপিকে ওই জরিমানা দিতে হবে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গোয়ালিয়র জেলার মোরার থানার পুলিশ এসআই সুমিত্রা টিগ্গার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েক জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার হয় ৭২০ গ্রাম এমডিএমএ সিন্থেটিক ড্রাগ। এ ছাড়া অভিযুক্তদের কাছ থেকে মেলে ২টি দেশি পিস্তল। এই ঘটনায় ২ মহিলা-সহ মোট আট জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
ধৃতদের মধ্যে এক জন ছিলেন মোহিত তিওয়ারি। ২৬ বছর বয়সি মোহিতের বাড়ি দাতিয়া জেলায়। কয়েক মাস জেলে থাকার পর অন্তর্বর্তিকালীন জামিনে মুক্ত হন তিনি। এর পর হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। ওই যুবকের দাবি, তিনি কোনও মাদক কারবার এবং কারবারিদের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর কাছ থেকে সে দিন পুলিশ মাদক বলে যা বাজেয়াপ্ত করেছিল তা মাদকই নয়। তিনি বার বার বলার চেষ্টা করেছিলেন, ওতে ইউরিয়া রয়েছে। কিন্তু পুলিশ তাঁর কথায় কর্ণপাত করেনি।
পুলিশি তদন্তেও উঠে আসে যুবকের দাবিই সত্য। শুক্রবার মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের বিচারপতি দীপককুমার আগরবালের একক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, পুলিশের ভুলের শাস্তি ভোগ করতে হয়েছে এক নিরাপরাধ যুবককে। কয়েক মাস তিনি জেল খেটেছেন। পুলিশের ভুলে গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে জেলে ছিলেন। এর ফলে যুবকের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। পুলিশের ভুলে সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘিত হয়েছে। তাই তার জরিমানা পুলিশকে দিতেই হবে। এর পর ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।