প্রতীকী ছবি।
এক আদিবাসী ব্যক্তির গায়ে প্রস্রাব ঘটনার এক মাস পার হতেই আবারও এক আদিবাসীর উপর হামলার অভিযোগ উঠল মধ্যপ্রদেশে। এ বার গুলি করার অভিযোগ উঠল বিজেপি বিধায়কের পুত্রের বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে, আদিবাসী ব্যক্তির গায়ে প্রস্রাব করার ঘটনাতেও অভিযোগ উঠেছিল বিজেপিরই অন্য এক বিধায়কের ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে।
আদিবাসী যুবক সূর্যকুমার খইরওয়ারকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে সিঙ্গরৌলির বিধায়ক রামলাল্লু বৈশ্যর পুত্র বিবেকানন্দ বৈশ্যের বিরুদ্ধে। ঘটনার সূত্রপাত একটি সরু রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকাকে কেন্দ্র করে। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গাড়ি নিয়ে একটি সরু রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন বিবেকানন্দ। সেই সময় ওই রাস্তাতে এক দল মানুষ দাঁড়িয়েছিলেন। গাড়ি যেতে সমস্যা হওয়ায় ওই রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের সঙ্গে বচসা শুরু হয় বিধায়কের পুত্রের।
রাস্তায় জটলা দেখে এগিয়ে এসেছিলেন আদিবাসী যুবক সূর্যকুমার। গিয়ে দেখেন, দু’পক্ষের মধ্যে বেশ তর্কাতর্কি হচ্ছে। সূর্যকুমার তখন পরিস্থিতি সামলাতে এগিয়ে আসেন। অভিযোগ, সেই সময় আচমকা বন্দুক বার করে সূর্যকুমারকে লক্ষ্য করে গুলি চালান বিধায়ক-পুত্র। গুলি সূর্যের ডান হাতের তালু ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেন বিবেকানন্দ। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। সিঙ্গরৌলির পুলিশ সুপার শিবকুমার বর্মা জানিয়েছেন, সূর্যকুমারকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
বিধায়ক-পুত্রের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। আদিবাসী যুবককে লক্ষ্য করে পুত্রের গুলি চালানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিধায়ক রামলাল্লু।
এই প্রথম নয়, এর আগেও বিধায়ক-পুত্রের বিরুদ্ধে এক বনরক্ষীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনাতেও পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। গ্রেফতারও হন। পরে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন।
গত মাসে এক আদিবাসী শ্রমিকের দশমত রাওয়তের গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ ওঠে প্রবেশ শুক্ল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি এক বিজেপি বিধায়কের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছিল কংগ্রেস। সেই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানকে ময়দানে নামতে হয়। আদিবাসী শ্রমিককে নিজের বাসভবনে ডেকে তাঁর পা ধুইয়ে দিয়ে ক্ষমাও চান মুখ্যমন্ত্রী।