এর আগেও বহু বার ম্যারাথন এবং আল্ট্রা ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছেন মধুস্মিতা। ছবি: টুইটার।
পরনে লালরঙা সম্বলপুরী হ্যান্ডলুম শাড়ি। এক নজরে শাড়িটি দেখলে পছন্দ হওয়ারই কথা। যাঁরা শাড়ি পরতে ভালবাসেন, তাঁরা জানেন যে সম্বলপুরী শা়ড়ির কারুকার্যের মধ্যে ওড়িশার ঐতিহ্য ফুটে ওঠে। শাড়িপ্রেমীদের সংগ্রহে অন্তত একটি সম্বলপুরী শাড়ি থাকা যেন বাধ্যতামূলক। কিন্তু মধুস্মিতা জেনার হাতে সেই শাড়ি অন্য মাত্রা পেল।
১৬ এপ্রিল ব্রিটেনের ম্যাঞ্চেস্টার ম্যারাথনে এই শাড়ি পরেই দৌড়তে দেখা গেল মধুস্মিতাকে। ব্রিটেনের ম্যাঞ্চেস্টার ম্যারাথন ২০২৩-এ ৪২.৫ কিলোমিটার দৌড়লেন ৪১ বছর বয়সি মধুস্মিতা। ৪ ঘণ্টা ৫০ মিনিটে ৪২.৫ কিলোমিটার দৌড়েছেন তিনি। ওড়িশার কেন্দ্রাপড়ায় জন্ম হলেও বর্তমানে তিনি থাকেন ম্যাঞ্চেস্টারে। সেখানকার একটি স্কুলের শিক্ষিকা তিনি। শাড়ি পরে মধুস্মিতার দৌড়নোর ছবি এবং ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে নিমেষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
মধুস্মিতার প্রশংসার জয়জয়কার করছেন নেটব্যবহারকারীরা। কারও মতে, তিনি ওড়িশার গর্ব। কেউ আবার বলছেন, ‘‘শাড়ি পরে দৌড়ে আপনি ভারতের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে সফল হয়েছেন।’’
তবে এই প্রথম বার নয়। এর আগেও বহু বার ম্যারাথন এবং আল্ট্রা ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছেন মধুস্মিতা। মধুস্মিতাকে কুর্নিশ জানিয়েছে অনেকের মন্তব্য, ‘‘শাড়ি পরে দৌড়নো খুব কঠিন ব্যাপার।’’ এই প্রসঙ্গে মধুস্মিতা বলেন, ‘‘যিনি যে পোশাকে স্বচ্ছন্দ, তিনি তাতেই দৌড়তে পারেন।’’
এর আগে শাড়ি পরে ম্যারাথন হয়েছে পুণে এবং কলকাতায়। কিন্তু ব্রিটেনের ম্যারাথনে শাড়ি পরে দৌড়ে অংশ নেওয়ার ঘটনা বিরল। ওড়িশার কন্যা যেন সকলের মধ্যে থেকেও নজির গড়ে ফেললেন।