সাংবাদিক ওমর রশিদ। ছবি- ফেসবুক থেকে নেওয়া।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে লখনউয়ে হিংসার ঘটনায় মদত দেওয়ার অভিযোগে এ বার পুলিশের হাতে হেনস্থা হতে হল সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের এক সাংবাদিককে। সাদা পোশাকে ঢুকে অবান্তর প্রশ্নে জেরা করার পর রেস্তোরাঁ থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায় ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকার লখনউয়ের প্রতিবেদক ওমর রশিদ ও তাঁর এক বন্ধুকে। তার পর দু’ঘণ্টা ধরে তাঁদের আটকে রাখা হয় পুলিশ স্টেশনে। ওমর জানিয়েছেন, তাঁকে থানায় নিয়ে নানা রকমের হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয়, ‘টেনে দাড়ি ছিঁড়ে নেব।’’ ওমরের বন্ধুকে পেটানো হয় বলেও অভিযোগ। বেশ কিছু ক্ষণ হেনস্থা করার পর ওমরকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে লখনউয়ে হিংসার ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
ওমর জানিয়েছেন, একটি খবরের জন্য তিনি আর তাঁর বন্ধু গিয়েছিলেন ওই রেস্তোরাঁয়। ওমর তাঁর বন্ধুর মোবাইলের ওয়াইফাই সংযোগ ব্যবহার করছিলেন তাঁর কাজের জন্য। সেই সময় সাদা পোশাকে তিন-চার জন রেস্তোরাঁয় ঢুকে তাঁদের টেবিলের কাছে চলে আসেন। এর পরেই তাঁরা নানা অবান্তর প্রশ্ন করতে শুরু করেন ওমরের বন্ধুকে। তাঁরা ওমর ও তাঁর বন্ধুর কাছে তাঁদের পরিচিতি জানতে চান। কেন তাঁরা রেস্তোরাঁয় বসে আছেন, জানতে চান। তার পর ওমর ও তাঁর বন্ধুকে তাঁরা টেনে নিয়ে গিয়ে রেস্তোরাঁর বাইরে দাঁড় করানো পুলিশের একটি জিপে তোলেন। ওমর তাঁর পরিচিতি জানালেও রেহাই মেলেনি।
ওমরের কথায়, ‘‘ওরা আমাদের থানায় নিয়ে গিয়ে একটা ঘরে বন্ধ করে রাখল। ওরা আমার মোবাইল-সহ আর যা কিছু সঙ্গে ছিল, সবই কেড়ে নিল। বেধড়ক মারধর করল আমার বন্ধুকে। নানা রকম ভাবে জেরা করতে করতে ওরা আমাদের বলল, লখনউয়ের হিংসার ঘটনার চক্রান্তে নাকি আমরা জড়িত। কাশ্মীরীদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ কতটা, ওরাও লখনউয়ের ঘটনায় জড়িত ছিল কি না, সেই সব জানতে চাইল আমাদের কাছে। ওরা বার বার বলছিল, আমার বিরুদ্ধে ওদের কাছে নথিপত্র আছে। তার পর আমাকে গালিগালাজ করা শুরু করল অকথ্য ভাষায়। বলা হল, টেনে আমার দাড়ি ছিঁড়ে দেওয়া হবে।’’
ওই ঘটনার খবর পেয়ে সংবাদমাধ্যমের তরফে ফোন যায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ও পি সিংহের কাছে। ফোন যায় মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়েও। তার পরেই ওমরকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।