—প্রতীকী চিত্র।
প্রেম করে বিয়ে করলে তাতে দাম্পত্য কলহের সম্ভাবনা বেশি থাকছে। অনেক ক্ষেত্রে তা থেকে বিবাহবিচ্ছেদ পর্যন্ত হচ্ছে। হিন্দু বিবাহ আইনে বদল প্রয়োজন বলে মনে করছে ইলাহাবাদ হাই কোর্ট। কেন্দ্রের কাছে এ বিষয়ে সুপারিশও করেছে তারা।
সম্প্রতি একটি মামলায় এক যুবককে বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি দিয়েছে হাই কোর্ট। সেই মামলাতেই উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, সমাজের ধারায় ‘প্রেম করে বিয়ে করা’র রীতি সহজেই ঢুকে পড়েছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী আইনে পরিবর্তন প্রয়োজন। হিন্দু বিবাহ আইনে, যে যে কারণে বিবাহবিচ্ছেদের কথা বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে তা মানানসই নয় বলেও মন্তব্য করেছে আদালত।
ইলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি বিবেক কুমার বিড়লা এবং বিচারপতি ডোনাডি রমেশের ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে হিন্দু বিবাহ আইন সংশোধনের সুপারিশ করেছে। আদালতের মন্তব্য, ১৯৫৫ সালে যে সময়ে এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছিল, সে সময়ের বিয়ের সঙ্গে এখনকার বিয়ের ধরন অনেক আলাদা। এখন যে ভাবে বিয়ে হয়, তা তখন ‘শোনাই যেত না’। বিয়ের সঙ্গে জুড়ে থাকা আবেগ এবং শ্রদ্ধা এখনকার দিনে বদলে গিয়েছে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিয়ের এই বদলকে প্রভাবিত করেছে শিক্ষা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, জাতপাতের বাঁধ ভাঙা, আধুনিকতা এবং পশ্চিমী সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ। সমাজ এখন আরও বেশি উদার, স্বাধীন হয়ে উঠেছে। যে কারণে বিয়েতে আর আগের মতো আবেগের প্রয়োজন হয় না। এই ধরনের কিছু বিষয় বর্তমানে দাম্পত্য জীবনকে প্রভাবিত করছে বলে মনে করেছে আদালত। বিচারপতিদের মনে হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইনে বদল আনা প্রয়োজন।