মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা নামে নতুন দল গড়েন রাজ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
মে মাসের ৩ তারিখে ইদ। মে মাসের ৪ তারিখের পর মহারাষ্ট্রের সব মসজিদে মাইক বাজানো বন্ধ না হলে তিনি দ্বিগুণ জোরে মসজিদের সামনে হনুমান চালিসা বাজাবেন। রবিবার মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে এক বিশাল জনসভায় এমনই হুঙ্কার ছাড়লেন মহারাষ্ট্র নবনির্বাণ সেনা (এমএনএস) সভাপতি রাজ ঠাকরে। প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের ভ্রাতুষ্পুত্র রাজ রবিবার তাঁর জনসভা থেকে বলেছেন, ‘‘ইদ ৩ মে। আমি উৎসব নষ্ট করতে চাই না। কিন্তু ৪ মে-র পর আর কিছু শুনব না। আমরা দ্বিগুণ জোরে হনুমান চালিসা চালাব যদি আমাদের দাবি না মেটানো হয়!’’
প্রসঙ্গত, শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত বাল ঠাকরে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই মহারাষ্ট্রে মরাঠা জাতীয়তাবাদ এবং হিন্দুত্ববাদের ‘উগ্রপুরুষ’ হিসেবে খ্যাত। রাজ তাঁর বক্তৃতায় সরাসরিই বলেন, ‘‘আমাদের দাবি না মানলে যা হবে, তার জন্য আমরা দায়ী নই। আমি বলছি, এটা ধর্মের নয়, সমাজের ব্যাপার।’’ রাজের এই বক্তৃতায় প্রয়াত বালাসাহেবের সুরই শুনতে পাচ্ছেন অনেকে। অনেকে আবার পরবর্তী ভোটকৌশলের সম্পর্কও দেখতে পাচ্ছেন। বাল ঠাকরের শিবসেনা বিজেপি-র সবচেয়ে পুরনো জোটসঙ্গী। তাঁর মৃত্যুর পর রাজ এবং উদ্ধবের সাংগঠনিক বিচ্ছেদ হয়। মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা নামে নতুন দল গড়েন রাজ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেননি। বালাসাহেবের পুত্র উদ্ধব পরিচালিত শিবসেনার সঙ্গেই জোট হয় বিজেপির। সেই জোট অবশ্য খারাপ ভাবে ভাঙে ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটের পর। একই বছরে লোকসভা ভোটও হয়েছিল। ঘটনাচক্রে, এই দুই ভোটই আবার ২০২৪-এ হবে। রাজ সে দিকে তাকিয়েই জনসভায় হুমকি দিয়েছেন বলে অমেকে মনে করছেন।