প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভোট ঘোষণা হতে আর কি ৬০ দিন। সব ঠিকঠাক থাকলে ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়াতেই লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ সূত্রের খবর, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন এক মাস এগিয়ে এনে মার্চ মাস থেকে ভোটপর্ব শুরু হয়ে যেতে পারে।
আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন। তার পরে ১ ফেব্রুয়ারি ভোটের বছরের বাজেট বা ‘ভোট-অন-অ্যাকাউন্ট’ পেশ হবে। অযোধ্যায় রামমন্দিরকে কেন্দ্র করে হিন্দু ভাবাবেগে ঢেউ তোলার চেষ্টার পর ওই বাজেটে মধ্যবিত্তদের জন্য আয়করে ছাড়-সহ নানা জনমুখী ঘোষণা হতে পারে। বাজেট অধিবেশন চলবে পাঁচ-ছয় দিন। তার পরেই লোকসভা ভোট ঘোষণা হয়ে যেতে পারে।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণা হয়েছিল ১০ মার্চ। সে বছর ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। সাত দফায় ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছিল ১৯ মে। ২৩ মে ভোটগণনা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের এক মন্ত্রী আজ বলেন, ‘‘গত বারের তুলনায় এক মাস এগিয়ে এনে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট ঘোষণা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমাদের হাতে আর মাত্র ৬০ দিনের মতো সময় রয়েছে।’’ সরকারি সূত্রের খবর, সংসদের চলতি অধিবেশন শেষ হওয়ার পরেই নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে সাংসদদের নিজের নিজের এলাকায় প্রচারে নেমে পড়ার বার্তাও দেওয়া হবে।
নীতীশ কুমার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিরোধী শিবিরের অনেকে এর আগে চলতি বছরের শেষেই লোকসভা নির্বাচন হয়ে যেতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। সে সময় সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, ভোট এতটা এগিয়ে আনার কোনও প্রশ্ন নেই। সেপ্টেম্বর মাসে সরকারের শীর্ষ সূত্রে আনন্দবাজার পত্রিকাকে জানানো হয়েছিল, লোকসভার ভোট নির্ধারিত সময়ের এক মাস আগে হতে পারে। মার্চে শুরু হয়ে ভোট এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হবে। তার আগে নির্বাচন এগিয়ে আনার সম্ভাবনা নেই।
তখনও অবশ্য লোকসভা ভোটের সেমিফাইনাল—রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, মিজ়োরাম, এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে কী হবে, তা বিজেপির জানা ছিল না। এখন হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যে জয়ের পরে ভোট এগিয়ে আনা নিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের মনে আর সংশয় থাকছে না। ভোট এগিয়ে আনলে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-র শরিকেরাও আসন সমঝোতার প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য হাতে সময় কম পাবেন। সর্বোপরি রামমন্দির নিয়ে উন্মাদনা, বাজেটের জনমোহিনী ঘোষণার রেশ থাকতে থাকতেই ভোট শুরু হয়ে যাবে।