তুরুপের তাস? -ফা্ইল ছবি
লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে কোন আসনে লড়বেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচন কেন্দ্র বারাণসীতে? নাকি ইলাহাবাদে (অধুনা প্রয়াগরাজ)? এই জল্পনা আরও বেড়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের জন্য কংগ্রেস শনিবার যে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে প্রিয়ঙ্কা তো বটেই, ওই দু’টি আসনের নামও না থাকায়। কৌতূহলকে আরও উসকে দিয়েছে এ ব্যাপারে কংগ্রেসের শীর্ষ স্তরের নেতৃত্বও মুখে কুলুপ এঁটে থাকায়।
প্রিয়ঙ্কা কি বারাণসীতেই প্রার্থী হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে? কিছুটা এড়িয়ে গিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার জবাব, ‘‘এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে তা ঘোষণা করতে দেরি হবে না।’’ অথচ কংগ্রেসেরই একটি সূত্রের খবর, ভোটে দাঁড়াতে প্রিয়ঙ্কার আপত্তি নেই। ২০১৪ সালেও তিনি নাকি লড়তে চেয়েছিলেন মোদীর বিরুদ্ধে, বারাণসীতে।
তার পরেও টালবাহানা চলছে কেন? কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রিয়ঙ্কার নাম ঘোষণার আগে ইলাহাবাদ বা বারাণসীতে তাঁর জেতার সম্ভাবনা কতটা, তা বুঝে নিতে দলীয় ভাবে সমীক্ষা চালানো হচ্ছে। তাই এখনও পর্যন্ত বারাণসী বা ইলাহাবাদ, কোনও আসনেই কংগ্রেস প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেনি। তবে বারাণসী নিয়ে কংগ্রেসের ভাবনাচিন্তার কিছুটা ইঙ্গিত মিলেছে গত কাল। ২০০৪ সালে দলের যে প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন বারাণসীতে, সেই রাজেশ মিশ্রকে এ বার পাশের সালেমপুর লোকসভা আসনে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। ২০১৪-য় হেরে যাওয়া দলীয় প্রার্থী অজয় রাইকে এখনও পর্যন্ত কোথাও প্রার্থী করা হয়নি।
আরও পড়ুন- প্রিয়ঙ্কায় নীরব মোদী, খোঁচা ‘মা ও ছেলে’-কে
আরও পড়ুন- পশ্চিমের ঝড়ের মুখও প্রিয়ঙ্কা
তবে কংগ্রেসেরই একটি সূত্রের খবর, আজ হোক বা কাল, প্রিয়ঙ্কার নাম ঘোষণা হবেই। কংগ্রেস তাঁকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী করবে বলেই এ বছরের গোড়ায় আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজনীতিতে আসেন প্রিয়ঙ্কা। তাঁকে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক করা হয়, বিশেষ ভাবে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দিয়ে।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রিয়ঙ্কা নাকি এ বারও চান বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে লড়তে। কিন্তু যদি হেরে যান, তাই কংগ্রেসেরই একটি মহলের তাতে আপত্তি। যদিও দলের অন্য একটি মহলের ধারণা, বারাণসীতে যদি কেউ মোদীকে ধাক্কা দিতে পারেন, তা হলে তিনি প্রিয়ঙ্কাই।
ও দিকে, সপা, বসপাকে নিয়ে যে মহাজোট হয়েছে উত্তরপ্রদেশে, তাতে বারাণসীতে প্রার্থী দেওয়ার কথা অখিলেশ যাদবের দলের। তবে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের সময় থেকেই অখিলেশের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক যথেষ্টই ভাল প্রিয়ঙ্কার। সে ক্ষেত্রে প্রিয়ঙ্কার জন্য বারাণসী ছেড়ে দিতে সপা ততটা আপত্তি করবে না বলেই আশা কংগ্রেসের একটি মহলের।