সদ্য কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন হার্দিক। ছবি: পিটিআই।
পাটিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক পটেলের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কার্যত বিশ বাঁও জলে! একটি মামলায় সাজার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শীর্ষ আদালত দ্রুত শুনানির সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছে।
সদ্য কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন হার্দিক। গুজরাতের জামনগর থেকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা। আগামী ২৩ এপ্রিল ওই আসনে ভোটগ্রহণ। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে হার্দিকের ভোট-ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
২০১৫ সালে পাটিদার সংরক্ষণ আন্দোলনের হার্দিকের বিরুদ্ধে দাঙ্গা বাধানোর অভিযোগ ওঠে। গত বছর নিম্ন আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে দু’বছরের কারাদণ্ডে নির্দেশ দেয়। গত অগস্টে হার্দিক জামিন পান এবং গুজরাত হাইকোর্ট তাঁর কারাদণ্ডের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন এবং সেই সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে উল্লেখ রয়েছে, দোষী সাব্যস্ত কোনও ব্যক্তি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এর পরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন হার্দিক। বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে ওই মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়। বেঞ্চের অন্য দুই বিচারপতি সান্ত্বনাগৌড়া এবং বিচারপতি নবীন সিংহ বলেন, ‘‘গত অগস্টে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল। এত দিন ধরে আপনার কী করছিলেন, হঠাৎ শুনানির জন্য জেগে উঠলেন? যদি আপনি নিজেকে সাহায্য করতে না পারেন, তা হলে আমরাও আপনাকে সাহায্য করতে পারব না।’’
গুজরাত সরকারের আইনজীবী তুষার মেটাও দেরি করে আবেদন জানানো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘আচমকা এক দিন (হার্দিক) মনে হল ভোট দাঁড়াতে হবে। তাই দ্রুত শুনানির আর্জি।’’ হার্দিকের আইনজীবীর পাল্টা যুক্তি, গত ২৯ মার্চ হাইকোর্ট সাজার উপর স্থগিতাদের দিতে রাজি হয়নি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৪ এপ্রিল হওয়ার জন্যই দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়েছে। আর্জি খারিজ করে আদালত বলেছে, ‘‘সাজা যখন পেয়েছেন, এখন তাড়াহুড়োর দরকার নেই।’’