কানহাইয়া কুমারের পরে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে পারেন শেলা রশিদও। প্রাক্তন আমলা শাহ ফয়সলের নবগঠিত দলের প্রার্থী হিসেবে তিনি শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়তে পারেন বলে দাবি সূত্রের। জেএনইউয়ে আফজ়ল গুরুর ফাঁসি সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের জেরে প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জেরেই পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন আদতে শ্রীনগরের বাসিন্দা শেলা। পুলওয়ামা কাণ্ডের পরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাশ্মীরিদের উপরে হামলা-সহ নানা বিষয় নিয়ে প্রতিবাদে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।
বিহারের বেগুসরাই কেন্দ্র থেকে সিপিআইয়ের প্রার্থী হিসেবে কানহাইয়ার ভোটে লড়া প্রায় নিশ্চিত বলেই দাবি রাজনৈতিক সূত্রের। আজ শাহ ফয়সল ও শেলার ঘনিষ্ঠ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শ্রীনগর থেকে প্রার্থী হতে রাজি হয়েছেন শেলা। গত দু’মাস ধরে শাহ ফয়সলের সঙ্গে কাজ করছেন সিপিআইএমএল-র ছাত্র সংগঠন আইসার এই প্রাক্তন নেত্রী।
কাশ্মীরে মোদী সরকারের দমননীতির প্রতিবাদে সিভিল সার্ভিস থেকে ইস্তফা দেন তরুণ আমলা ফয়সল। রাজনীতিতে তাঁর পা রাখার কথাও শোনা যায় তখনই। প্রথমে ন্যাশনাল কনফারেন্সে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন ছড়ালেও পরে ফয়সল জানান, তাঁর ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা স্থির করবেন কাশ্মীরের তরুণ প্রজন্মই। ফয়সল ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, রবিবার নবগঠিত দলের নাম ঘোষণা করবেন। দলকে নির্বাচন কমিশনে নথিবদ্ধ করানোর প্রক্রিয়াও শুরু হবে। ফয়সলের দলের এক নেতার কথায়, ‘‘শ্রীনগরে প্রার্থী হওয়া ছাড়াও দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে শেলার।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
• জেএনইউ-এর ছাত্র সংগঠনের প্রথম কাশ্মীরি মহিলা সহ-সভাপতি
• শ্রীনগর এনআইটি-র প্রাক্তনী
• জেএনইউ থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি
• কানহাইয়া কুমারদের আন্দোলনে প্রথম সারির কর্মী
উপত্যকার রাজনীতিকদের মতে, কাশ্মীরের তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ আবদুল্লা ও মুফতি পরিবারের রাজনীতি সম্পর্কে ক্ষুব্ধ। তাঁদের একাংশ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের পথে পা বাড়িয়েছেন। শাহ ফয়সলের এই নতুন দল যুব সমাজের কাছে নতুন সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।