‘মেক ইন ইন্ডিয়া নয়, মেড ইন চায়না চলছে’

তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-র সঙ্গে জোট করে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে কংগ্রেস।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সালেম শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:০১
Share:

দ্রাবিড়ভূমে: নির্বাচনী প্রচারে রাহুল গাঁধী। শুক্রবার তামিলনাড়ুর সালেমের জনসভায়। ছবি: পিটিআই।

তামিলনাড়ুর সালেম, কৃষ্ণগিরি, থেনিতে নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কার্যত তুলোধোনা করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘মোদী সরকারের মেক ইন ইন্ডিয়া আসলে মুখের কথা! গোটা দেশই তো এখন চলছে মেড ইন চায়না-র জিনিসে।’’

Advertisement

তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-র সঙ্গে জোট করে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে কংগ্রেস। কেন্দ্রকে নিশানা করতে রাহুল আজ নোট বাতিল, জিএসটি, দেশের সার্বিক আর্থিক মন্দাকে অস্ত্র করেন। সালেমের সভায় উপস্থিত যুবকদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘‘দেশে এত বেকার। এ জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রীই। গুটি কয়েক ধনী ব্যক্তির ঘরে যাবতীয় অর্থের ব্যবস্থা করে তিনি আসলে দেশের যুব সমাজকে আঘাত করেছেন।’’ মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’কে রাহুলের কটাক্ষ, ‘‘ওই মেক ইন ইন্ডিয়ার স্লোগান পুরো ফাঁপা। যেখানেই তাকাই না কেন, চিনা জিনিসই তো এখন দেখতে পাই— জুতো, টি শার্ট, ফোন। এখন আমাদের আসল মেড ইন ইন্ডিয়া আর মেড ইন তামিলনাড়ু প্রয়োজন।’’

জিএসটি-কে ফের ‘গব্বর সিংহ ট্যাক্স’ বলে উল্লেখ করে রাহুল মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘কংগ্রেস কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরলে জিএসটি তুলে দেওয়া হবে। কর থাকবে একটাই। তা হবে ন্যূনতম এবং সরল।’’ তাঁর আশ্বাস কোনও ছোট উদ্যোগপতি যদি ব্যবসা শুরু করতে চান, তা হলে অনুমতি পেতে তিন বছর ধরে তাঁকে কোনও সরকারি অফিসে ঘুষ দিয়ে চক্কর কাটতে হবে না। রাহুলের কথায়, ‘‘এক বার আপনার ব্যবসা দাঁড়িয়ে যাবে, তার পর অনুমতির প্রশ্ন। এখন তো তাঁতিদের কাপড় বোনার জন্য সুতো কিনতে গেলেও কর দিতে হয়।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, নীরব মোদী, মেহুল চোক্সী, বিজয় মাল্যের মতো ঋণখেলাপি শিল্পপতিরা প্রধানমন্ত্রীর জন্যই দেশ ছেড়ে পালাতে পেরেছিলেন। আদানি, অম্বানীদের মতো শিল্পপতিদের নাম করে রাহুলের দাবি, মোদী সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রীর ‘অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ’ মাত্র ১৫ জনের ঘরেই দেশের যাবতীয় অর্থ জমা হয়েছে। তামিলনাড়ুর কৃষকরা দিল্লিতে গিয়ে ধর্না দিয়েছিলেন। সে কথা উল্লেখ করে রাহুল বলেছেন, ‘‘মোদীজি তখন নীরব। কৃষকেরা পোশাক খুলে প্রতিবাদ করেছিলেন। অথচ প্রধানমন্ত্রীকে এসে তাঁদের জড়িয়ে ধরতে দেখেছেন? কিন্তু প্রতিটি দুর্নীতিগ্রস্ত শিল্পপতিকে উনি জড়িয়ে ধরেন। পাশে বসেন।’’

থেনির সভায় প্রধানমন্ত্রীকে রাহুলের কটাক্ষ, ‘‘কোনও দাম্ভিকের মন কি বাত নয়। এখন সময় কাজের কথা (কাম কি বাত) বলার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement