কংগ্রেসই ভরসা, বুঝছে সিপিএম

রবিবার থেকে দিল্লিতে শুরু কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য নেতৃত্ব প্রস্তাব দিয়েছে, সিপিএম এবার গোটা বিশেক আসনে লড়বে। বাকি তিন বাম দল এত দিন ১০টি আসনে লড়ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯ ০৩:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

এত দিন আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতারা কংগ্রেসের সঙ্গে রফা করতে গেলে কেরল বা অন্য রাজ্য থেকে বাধা আসত। এ বার অন্য রাজ্যের বাধা বিশেষ নেই। কিন্তু তবু কংগ্রেসের সঙ্গে রফা সেরে আসতে পারেননি সূর্যকান্ত মিশ্র-বিমান বসুরা। কাঁটা রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসন।

Advertisement

রবিবার থেকে দিল্লিতে শুরু কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য নেতৃত্ব প্রস্তাব দিয়েছে, সিপিএম এবার গোটা বিশেক আসনে লড়বে। বাকি তিন বাম দল এত দিন ১০টি আসনে লড়ত। তারাও এবার ১০টি আসনে লড়বে না। ৪২টি আসনের মধ্যে বাকিগুলিতে বামেরা প্রার্থী দেবে না। সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী দিতে পারে। পার্টি কংগ্রেসের গৃহীত রাজনৈতিক লাইন মেনে, ওই সব আসনে বিজেপি-বিরোধী ‘ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক’ দলকে জেতানোর ডাক দেবে সিপিএম।

অর্থাৎ, কংগ্রেসের বাক্সে সিপিএমের ভোট ফেলা হবে।

Advertisement

তবু গোল বেঁধেছে রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ নিয়ে। কংগ্রেসের জেতা চারটি আসন ছেড়ে দিতে সিপিএম বা অন্য বাম দলগুলির কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু কংগ্রেস রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ ছাড়তে নারাজ। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহম্মদ সেলিমের জেতা আসন রায়গঞ্জে দীপা দাসমুন্সিকে প্রার্থী করতে চায় কংগ্রেস।

পশ্চিমবঙ্গে বাম-কংগ্রেস বোঝাপড়ায় এত দিন কেরল, ত্রিপুরা ও অন্য রাজ্যগুলি বাগড়া দিলেও এবার তেমন বাধা আসছে না। কারণ সব রাজ্যই বুঝতে পারছে, লোকসভায় বামেদের আসন বাড়াতে হলে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, অন্যান্য রাজ্যেও এই ধরনের বোঝাপড়া দরকার।

উদাহরণ, মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস ও এনসিপি-র সঙ্গে সিপিএম বোঝাপড়ায় যেতে চাইছে। মহারাষ্ট্রেরই নাশিক থেকে সিপিএমের কৃষক সভার আয়োজিত ‘লং মার্চ’ সাড়া ফেলে দিয়েছিল। নাশিকের দিন্দোরি আসনে মহারাষ্ট্রের সাত বারের সিপিএম বিধায়ক জীভা পাণ্ডু গাভিটকে প্রার্থী করতে চায় সিপিএম। তার জন্য কংগ্রেস ও এনসিপি-র সঙ্গে কথাবার্তা এগোচ্ছে। এনসিপি পালঘর আসনটি ছাড়তে রাজি। কিন্তু সেখানে সিপিএমের জেতা সহজ হবে না বলে মনে করছেন দলের নেতৃত্ব। দিন্দোরি থেকে কংগ্রেস, এনসিপি-র সহযোগিতায় গাভিট জিতে এলে, ১৯৯১-এর পর এই প্রথম মহারাষ্ট্র থেকে সিপিএমের কোনও সাংসদ জিতবেন।

তামিলনাড়ুতে যেমন ডিএমকে ও কংগ্রেসের সমর্থনে অন্তত একটি আসন পেতে চাইছে সিপিএম। অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানাতেও একই রকম চেষ্টা চলছে। রাজস্থান, হিমাচলের মতো যে সব রাজ্যে সিপিএমের বিধায়ক রয়েছে, সেখানেও সিপিএম প্রার্থী দেবে। যদিও সেখানে কংগ্রেসের সমর্থন না মেলায় জেতার আশা ক্ষীণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement