এ বার চ্যালেঞ্জ দিল্লির মেয়ের

রাহুল নিজে আজ টুইটারে ফলাও করে ‘ন্যায়’ প্রকল্পের প্রচার করলেন। বললেন, ‘‘গোটা দেশে ন্যায়-এর পক্ষে শুধু যুবক নয়, প্রবীণেরাও ভোট দিতে আসছেন। তাঁরাও এর ক্ষমতা বুঝেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৯ ০৩:০৫
Share:

ছবি: পিটিআই।

লাইট-ক্যামেরা বলে হাঁকাহাঁকি আছে, কিন্তু অ্যাকশন নেই!

Advertisement

শেষ দু-দফা ভোটের আগে মোদীর পাঁচ বছরের শাসনকে এই ভাবেই বর্ণনা করার নির্দেশ দিলেন রাহুল গাঁধী। প্রধানমন্ত্রী নিজে যতই রাজীব গাঁধীর নাম নিয়ে চড়াও হচ্ছেন, রাহুল দলকে বলছেন, আসল বিষয়গুলোয় ফিরে যেতে।

রাহুল নিজে আজ টুইটারে ফলাও করে ‘ন্যায়’ প্রকল্পের প্রচার করলেন। বললেন, ‘‘গোটা দেশে ন্যায়-এর পক্ষে শুধু যুবক নয়, প্রবীণেরাও ভোট দিতে আসছেন। তাঁরাও এর ক্ষমতা বুঝেছেন। মোদীজি আপনার সময় ফুরিয়েছে।’’ আর দিল্লিতে মোদীর সভার আগেই রোড-শো করে নোটবন্দি, জিএসটি, মহিলা নিরাপত্তার মতো মূল সমস্যা নিয়ে মোদীকে ভোটে লড়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।

Advertisement

ঠিক একই ভঙ্গিতে ক’দিন আগে কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছিলেন, ‘‘আসুন, শেষ দু’দফায় রাজীব গাঁধীর মানসম্মানকে সামনে রেখে ভোট হয়ে যাক।’’ কিন্তু কথায় কথায় গাঁধী পরিবারের ইতিহাসকে ভোটের উঠোনে নিয়ে আসার এই প্রবণতাকেই কটাক্ষ করে প্রিয়ঙ্কা বললেন, ‘‘পরিস্থিতি এখন এমন হয়েছে, বাচ্চা হোমওয়ার্ক না-করে স্কুলে এসেছে। শিক্ষক জিজ্ঞাসা করলে বলছে, কী করে হোমওয়ার্ক করব? নেহরুজি আমার খাতা লুকিয়ে রেখেছেন। ইন্দিরাজি আমার কাগজ নিয়ে নৌকা বানিয়ে জলে ডুবিয়ে দিয়েছেন!’’

শীলা দীক্ষিতের সঙ্গে রোড-শোতে প্রিয়ঙ্কা এ দিন মোদীকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন। বললেন, ‘‘দিল্লির মেয়ে আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছে। লোক আপনার ভাষণে ক্লান্ত। আমার জন্ম দিল্লিতে। মেহরৌলি থেকে মজনু কা টিলা— সব জানি। আসুন শেষ দু-দফায় নোটবন্দি, জিএসটি, মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে ভোট হয়ে যাক। যে যুবকদের ধোঁকা দিয়েছেন, তাদের ইস্যুতে ভোট হয়ে যাক।’’

শুধু রাহুল-প্রিয়ঙ্কা নন, পি চিদম্বরম থেকে অহমেদ পটেলরাও আজ নেমে পড়লেন মোদীর পাঁচ বছরের ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলতে। দিল্লিতে আজ দফায় দফায় সাংবাদিক সম্মেলন করল কংগ্রেস। টেনে আনল গুড্ডি দেবীর কথা। তিন বছর আগে উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার যে মহিলা ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ‘উজ্জ্বলা’ প্রকল্পের ‘ম্যাসকট’। কিন্তু অর্থের অভাবে তিন বছরে মাত্র ১১টি সিলিন্ডার নিতে পেরেছেন। কংগ্রেসের কটাক্ষ, ‘‘মোদীর বড় বড় বিজ্ঞাপন হয়, ঢাক পিটিয়ে প্রচার হয়। কিন্তু কাজের কাজ হয় না। অভিনেতাদের বদলে গুড্ডি দেবীকে দিয়ে সাক্ষাৎকার নেওয়ান না প্রধানমন্ত্রী!’’ স্যুট-বুট সরকার কী ভাবে গ্রামের অর্থনীতিকে ভেঙে দিয়েছে, রোজগার ‘ভ্যানিশ’ করে দিয়েছে, বিনিয়োগ থমকে গিয়েছে, পরিসংখ্যানের জালিয়াতি হচ্ছে— একে একে মেলে ধরলেন তাঁরা। চিদম্বরম বললেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে যতই ভোটের মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করুন না কেন, মানুষ সব বোঝেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement