তৃতীয় দিন মাঠ পরিদর্শন করছেন ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারেরা। ছবি: পিটিআই।
পিচ প্রস্তুতকারক মনে করছেন, আম্পায়ারেরা ঠিক মতো তাঁদের নির্দেশ দিলেই কানপুরে ভারত-বাংলাদেশ তৃতীয় দিনের খেলা হতে পারত। কারণ, তৃতীয় দিন এক ফোঁটাও বৃষ্টি হয়নি। তার পরেও কেন খেলা হল না? আম্পায়ারেরা জানিয়েছেন, মাঠের বেশ কিছু জায়গা ভিজে ছিল। কিন্তু পিচ প্রস্তুতকারক জানিয়েছেন, তাঁদের ঠিক মতো জানালেই সেই সমস্যা মিটিয়ে ফেলা যেত।
উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার পিচ প্রস্তুতকার শিব কুমার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি তাঁদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কিন্তু আম্পায়ারেরা কখন মাঠ পরিদর্শনে যাবেন, সেই বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, “ওঁরা আমাদের বলেছিলেন, তিন বার মাঠ পরিদর্শন করবেন। কিন্তু কোথায় কোথায় সমস্যা হচ্ছে সেটা বলেননি। আমি ওঁদের বলেছিলাম, চাইলে ম্যাচ শুরু করতে পারেন। কোথায় সমস্যা হচ্ছে আমাকে বলুন। ওঁরা কিছু বলেননি।”
তৃতীয় দিন বার বার মাঠ পরিদর্শন করেন আম্পায়ারেরা। সঙ্গে ছিলেন ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো। ডিপ মিড উইকেট এলাকায় কিছু জায়গা নিয়ে তাঁদের আপত্তি ছিল। শেষ বার দুপুর ২টোয় মাঠ পরিদর্শন করেন তাঁরা। তার পরেই জানিয়ে দেন, তৃতীয় দিন আর খেলা হবে না। ভারত ও বাংলাদেশ দু’দল হোটেলেই ছিল। মাঠেও আসেনি তারা।
শিবের মতে, ২টোর বদলে ১টার সময় মাঠ পরিদর্শনে গেলে ভাল করতেন আম্পায়ারেরা। তিনি বলেন, “ওঁরা আমাদের বলেছিলেন আলো পর্যাপ্ত হলে তবেই খেলা হবে। পিচ আর মাঠের বেশির ভাগ জায়গা খুব ভাল পরিস্থিতিতে ছিল। ওঁরা যদি ১টার সময় পিচ পরিদর্শনে যেতেন তা হলে আমরা এক ঘণ্টা সময় পেতাম। যে যে জায়গা নিয়ে সমস্যা ছিল সেগুলো এক ঘণ্টার মধ্যে ঠিক করতে পারতাম। কিন্তু ২টোয় পরিদর্শন করায় আর সময়ই পেলাম না।”
পিচ প্রস্তুতকারক যাঁর দিকেই আঙুল তুলুন না কেন, দর্শকেরা আঙুল তুলছেন কানপুর ক্রিকেট সংস্থার দিকে। কারণ, টেস্ট শুরু হওয়ার আগে গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকা সঞ্জয় কপূর জানিয়েছিলেন, বৃষ্টি হলেও খেলায় কোনও সমস্যা হবে না। বৃষ্টি থামলে এক ঘণ্টার মধ্যে মাঠ খেলার যোগ্য করে তুলবেন তাঁরা। তার পরেও দু’দিনের খেলা নষ্ট হল।