আদানি ‘ঘুষকাণ্ডে’ উত্তপ্ত সংসদের দুই কক্ষ। ছবি: পিটিআই।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আদানি ‘ঘুষকাণ্ডে’ আলোচনার দাবি জানায় বিরোধীরা। শুধু আদানি নয়, মণিপুর প্রসঙ্গও উঠল বুধবারের অধিবেশনে। লোকসভা এবং রাজ্যসভা— সংসদের দুই কক্ষেই আলোচনার দাবিতে হট্টগোল শুরু হয়। যার জেরে আলোচনা ছাড়াই দ্বিতীয় দিনও মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের উভয় কক্ষ। বৃহস্পতিবার আবার সকাল ১২টায় শুরু হবে সংসদের তৃতীয় দিনের অধিবেশন।
বুধবার সকাল ১১টায় লোকসভার অধিবেশ শুরু হতেই বিরোধীরা আদানি ‘ঘুষকাণ্ড’ নিয়ে আলোচনা চায়। স্পিকার ওম বিড়লা প্রথম থেকেই বিরোধীদের শান্ত থাকার আর্জি জানান। তিনি বলেন, ‘‘সংসদে শান্তি বজায় রাখুন। প্রশ্নোত্তর পর্বের পর আলোচনা হবে।’’ কিন্তু তাতেও চুপ করানো যায়নি বিরোধী শিবিরকে। তার পরই অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করেন বিড়লা।
বেলা ১২টা নাগাদ আবার লোকসভার অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধী দলনেতা তথা রায়বরেলীর কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী গৌতম আদানির গ্রেফতারির দাবি জানান। তাঁর সুরেই সুর মেলান অন্য বিরোধী সাংসদেরা। আলোচনা ছাড়াই অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ প্রায় একই পরিস্থিতিতে শুরু হয় রাজ্যসভার অধিবেশন। বিরোধীরা সাংসদেরা দিল্লির অপরাধ, মণিপুরের অশান্তি, আদানির ‘ঘুষকাণ্ড’ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ১৮টি নোটিস দেন রাজ্যসভার স্পিকার জগদীপ ধনকড়কে। যদিও কোনও নোটিসই গৃহীত হয়নি। ধনখড় সব নোটিস খারিজ করে দিয়ে জানান, সকলের উচিত কক্ষের ঐতিহ্য বজায় রাখা। বুধবার লোকসভা এবং রাজ্যসভা দুই কক্ষেই দু’জোড়া বিল পেশ করার কথা ছিল। ব্যাঙ্কিং আইন (সংশোধনী) বিল, ২০২৪ এবং রেলওয়ে (সংশোধনী) বিল ২০২৪ পেশ হওয়ার কথা ছিল লোকসভায়।
আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলার কথা। এই অধিবেশনেই ওয়াকফ সংশোধনী বিল, বিপর্যয় মোকাবিলা সংশোধনী বিল আনার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এখনও পর্যন্ত সরকারপক্ষের যা সিদ্ধান্ত, তাতে ১৫টি বিল আনা হতে পারে লোকসভার চলতি অধিবেশনে। ‘এক দেশ এক ভোট’ নিয়েও চলতি অধিবেশনে সংসদে বিল আনতে পারে এনডিএ শিবির। কিন্তু আদানি ‘ঘুষকাণ্ড’ বিতর্ক, মণিপুর সঙ্কট-সহ একাধিক বিষয়ে দু’দিনই কোনও আলোচনা ছাড়াই মুলতুবি হয়ে যায় সংসদ।