প্রতীকী ছবি।
ঘড়ি ধরে যাত্রিবাহী ট্রেন চালাতে হিমশিম খেয়ে যায় রেল। কিন্তু করোনা-কালবেলায় লকডাউনের মধ্যে ঘড়ি ধরে দেশের ৫৮টি গুরুত্বপূর্ণ রুটে ১০৯টি পণ্যবাহী ট্রেন ছোটাচ্ছে তারা। যাত্রিবাহী মেল, এক্সপ্রেস ট্রেনের গতিতে ছুটছে ওই সব পার্সেল ট্রেন। করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় জরুরি ওষুধ, বিভিন্ন চিকিৎসা-সরঞ্জাম, দুধ, ফল, খাদ্যশস্য নিয়ে ছুটছে ওই সব ট্রেন।
দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, গুয়াহাটি, ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের মধ্যে ছুটছে ওই সব পণ্যবাহী ট্রেন। গুজরাতের পালানপুর থেকে দিল্লির পালওয়াল বা অন্ধ্রপ্রদেশের রেনিগুন্টা থেকে উত্তর ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরের এক্সপ্রেস ট্রেনের গতিতে পৌঁছে যাচ্ছে দুধের ট্যাঙ্কার। গুজরাত থেকে কানপুর বা হাওড়ার সাঁকরাইলে আসছে দুগ্ধজাত জিনিস।
সম্প্রতি বেঙ্গালুরু থেকে জরুরি ওষুধ, মাস্কের সঙ্গে সঙ্গে ডিম, পেঁপে, আম-সহ নানান পণ্য হাওড়ায় এসে পৌঁছেছে। একই ভাবে হাওড়া থেকে বিভিন্ন আনাজপাতি নিয়ে বিশেষ পার্সেল ট্রেন ছুটে গিয়েছে চেন্নাই। রেল সূত্রের খবর, লাইনে ভিড় না-থাকায় পার্সেল ট্রেনগুলিকে ঘড়ি ধরে প্রায় যাত্রিবাহী ট্রেনের গতিতে মেন লাইন দিয়ে ছোটানো সম্ভব হচ্ছে। কার্যত নির্মীয়মাণ পণ্য পরিবহণ করিডরের মতো দক্ষতা এবং দ্রুততায় কাজ করছে চিহ্নিত রুটগুলি। দক্ষতার সঙ্গে পার্সেল ট্রেন চালাতে পারলে লকডাউনের মধ্যেও বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে বলে রেলের আধিকারিকদের অভিমত। সেই সঙ্গে চাষিরাও ক্ষতির হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পাবেন।