প্রতীকী ছবি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন এক তরুণী। ভিডিয়োটি পোস্ট করার এক দিনের মাথায় বেপাত্তা হয়ে গেলেন উত্তরপ্রদেশের সেই আইনের ছাত্রী। সেই ঘটনায় চিন্ময়ানন্দের নামে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণ এবং ভয় দেখানোর অভিযোগে মামলা করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
ওই ছাত্রী এসএস ল কলেজের পড়ুয়া। যেখানকার ডিরেক্টর চিন্ময়ানন্দ। ছাত্রীর অভিযোগ, চিন্ময়ানন্দ তাঁকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুন করার হুমকি দিচ্ছিলেন। কারণ, ওই ছাত্রীর কাছে এমন অনেক তথ্যপ্রমাণ ছিল যা ফাঁস হলে বিপদে পড়তে পারেন ওই বিজেপি নেতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে সাহায্য চান ওই তরুণী। ভিডিয়োতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আমি শাহজহানপুরে থাকি। নাম...। এসএস ল কলেজ থেকে এলএলএম করছি। সুশীল সমাজের এক জন প্রভাবশালী নেতা যিনি অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছেন, আমাকেও খুনের হুমকি দিচ্ছেন। কারণ আমার কাছে ওঁর বিরুদ্ধে বহু প্রমাণ রয়েছে। মোদীজি ও যোগীজির কাছে অনুরোধ, আমায় সাহায্য করুন। শুধু আমিই জানি আমি কী অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। উনি একজন সন্ন্যাসী। আমায় হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন— পুলিশ থেকে জেলাশাসক সবাই ওঁর হাতের মুঠোয়। কেউ কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। আমি আপনাদের সাহায্যপ্রার্থী।’’
ওই ছাত্রীর আরও অভিযোগ, যখনই কেউ ওই নেতার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে গিয়েছে, উনি খোলাখুলি খুনের হুমকি দিয়েছেন। ফেসবুক লাইভে গত শুক্রবার এই বার্তা দেওয়ার পর দিন থেকেই নিখোঁজ ওই তরুণী। তাঁর বাবার অভিযোগ, মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তরুণীর মা জানান, মেয়ে অত্যন্ত সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু কী হয়েছে তা বিশেষ খোলসা করেননি তাঁদের কাছে। রাখিতে শেষবার মেয়ে বাড়ি এসেছিলেন। তখন বলেছিলেন, ‘আমার ফোন অনেক ক্ষণ বন্ধ থাকলে বুঝবে আমি বিপদে পড়েছি।’ তরুণী বাড়িতে জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁকে নৈনিতাল পাঠিয়ে দিতে পারেন।
তরুণীর বাবা বলেছেন, ‘‘রাখির সময়ে যখন বাড়িতে এসেছিল, তখনই ওকে বেশ উদ্বিগ্ন দেখেছি। তবে ও ব্যক্তিগত ভাবে আমাদের কাছে কিছু বলেনি।’’ গত বছর চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ’১১ সালের ধর্ষণ ও অপহরণের একটি মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যোগী আদিত্যনাথ সরকার।