চিরাগ পাসোয়ান। ফাইল চিত্র।
সংসদীয় দলের নেতার পদ থেকে সরানো হয়েছিল সোমবারই। এ বার ভাইপো চিরাগ পাসোয়ানকে লোক জনশক্তি পার্টি (এলজেপি)-র সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে সরালেন কাকা পশুপতিনাথ পারস। এলজেপি-র নয়া সংসদীয় দলের নেতা পশুপতির নেতৃত্বে মঙ্গলবার দিল্লিতে দলের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও চিরাগ শিবিরের তরফে ওই বৈঠককে ‘অবৈধ’ দাবি করে বলা হয়েছে, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একমাত্র সর্বভারতীয় সভাপতিই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকার অধিকারী।
পশুপতি শিবিরের তরফে সোমবার বলা হয়েছে, সুরজভান দলের কার্যকরী সভাপতি মনোনীত হয়েছেন। তিনি এলজেপি-র জাতীয় পরিষদের বৈঠক ডাকবেন। ওই বৈঠকে পরবর্তী স্থায়ী সভাপতি নির্বাচিত হবেন। চিরাগ অবশ্য সরাসরি কাকার শিবিরের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কিছু বলেননি। প্রয়াত পিতা রামবিলাস পাসোয়ানের কথা বলে টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি চেষ্টা করেছিলাম বাবা এবং পরিবারের বানানো দলকে ধরে রাখতে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। পার্টি আমার মা, আর মায়ের সঙ্গে প্রতারণা করা উচিত নয়। গণতন্ত্রে জনতাই শেষ কথা বলে। যাঁরা দলের প্রতি বিশ্বাসী, তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একটা পুরনো চিঠি তুলে ধরলাম।’ গত মার্চে দলে অন্তর্বিরোধ শুরু হওয়ার পরেও এই টুইটটি করেছিলেন চিরাগ। পটনায় মঙ্গলবার পশুপতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান চিরাগ অনুগামীরা।
এলজেপি-র ৬ জন লোকসভা সাংসদের মধ্যে চিরাগ ছাড়া ৫ জন রবিবার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করে পশুপতিকে নয়া নেতা নির্বাচনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। সেই আবেদনে ইতিমধ্যেই স্বীকৃতি দিয়েছেন স্পিকার। পশুপতি জানিয়েছেন, বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকেই ‘নেতা’ মেনে এনডিএ জোটে ফিরবে এলজেপি। সোমবার কাকার সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাংলাতে গিয়েছিলেন চিরাগ। কিন্তু পশুপতি দেখা করেননি। অন্যদিকে, মঙ্গলবার আরজেডি-র তরফে চিরাগকে এনডিএ বিরোধী ‘মহাগঠবন্ধন’-এ শামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।