ন্যাটো-র শীর্ষ বৈঠকে বাইডেন-সহ সদস্যরাষ্ট্রগুলির প্রধানরা। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
গালওয়ান সংঘর্ষের বর্ষপূর্তির আগে চিনকে নিয়ে সতর্কবার্তা দিল ন্যাটো। আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের তরফে সোমবার চিনের ক্রমবর্ধমান সামরিক তৎপরতা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ন্যাটো-র সদর দফতরে সদস্যরাষ্ট্রগুলির প্রধানদের বৈঠকে চিনের সামরিক পরমাণু কর্মসূচি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
ন্যাটো-র শীর্ষবৈঠকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়া এবং চিনের সামরিক সখ্য ন্যাটো-র সদস্যরাষ্ট্রগুলির কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে উঠতে পারে। ন্যাটো-র মহাসচিব জেনস স্টেলটেনবার্গের মতে, সামরিক ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষেও ন্যাটো-কে ছুঁয়ে ফেলেছে চিন। তবে সেই সঙ্গেই তিনি বলেছেন, ‘‘চিনের সঙ্গে কোনও স্নায়ুযুদ্ধে জড়ানোর অভিপ্রায় আমাদের নেই। কিন্তু ন্যাটো-র সদস্যরাষ্ট্রগুলির নিরাপত্তার স্বার্থে আরও শক্তিশালী নীতি গ্রহণ করা প্রয়োজন।’’
এই প্রথম বার ন্যাটো-র শীর্ষ বৈঠকে ‘আলোচনা’র কেন্দ্রে চলে এল চিন। বৈঠকে প্রকাশ্যে আসার পরেই মঙ্গলবার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেজিং। সে দেশের বিদেশ দফতরের বিবৃতিতে চিনের উন্নয়নের যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা খোঁজার ‘পরামর্শ’ দেওয়া হয়েছে ন্যাটো-কে। গত বছরের ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ানে চিনা ফৌজের সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছিল। সোমবার ন্যাটোর বৈঠকে প্রতিবেশীদের প্রতি বেজিংয়ের আগ্রাসী আচরণ এবং শিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের উপর দমন-পীড়নের প্রসঙ্গও এসেছে।