—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পঞ্জাবের মোহালির এক হোটেলে মিলেছে মহিলার দেহ। বৃহস্পতিবার সেই দেহ মেলার পর তদন্তে নামে পুলিশ। জানা গিয়েছে, একত্রবাসের সঙ্গী কুপিয়ে খুন করেছেন মহিলাকে। তিনি প্রতারণা করছেন বলে সন্দেহ হয়েছিল তরুণের। সেই সন্দেহের জেরেই খুন বলে মনে করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার নাম সুনীতা। তিনি বিবাহবিচ্ছিন্না। পঞ্জাবের নওশেহরের সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা। নওশেহরের সুনীলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। সুনীল পেশায় ইলেক্ট্রিশিয়ান। তিনিও বিবাহবিচ্ছিন্ন। চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে তাঁর।
বৃহস্পতিবার সকালে মোহালির ওই হোটেলের কর্মীরা দেখেন, যে ঘরে সুনীতা ছিলেন, তাঁর দরজা অর্ধেক খোলা। ভিতরে ঢুকে দেখেন, সুনীতার রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুনীতাকে একাধিক বার কোপানো হয়েছে। সুনীল এবং সুনীতার সম্পর্ক ছিল। সুনীলের সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি মোহালিতে আসতেন। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, সম্প্রতি সুনীলের সন্দেহ হয়েছিল, সুনীতা তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করছেন। সেই নিয়ে দু’জনের বচসা চলছিল। তার মাঝেই সুনীতাকে কুপিয়ে হত্যা করেন সুনীল।
ডিসিপি মোহিত আগরওয়াল জানিয়েছেন, সুনীলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিন দিন আগে সুনীতাকে মোহালিতে ডেকেছিলেন সুনীল। একটি হোটেলে দু’জনে থাকছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে হোটেল কর্মীরা ঘরে ঢুকে মহিলার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। হোটেলের ঘর ভাড়া নেওয়ার সময় যে আধার কার্ড জমা করেছিলেন সুনীতা, তা দেখে দেহ শনাক্ত করা হয়েছে।