Monsoon in South Bengal

অবশেষে বর্ষা এল দক্ষিণে, স্বস্তি কি এল! কলকাতা-সহ কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই

মৌসম ভবন জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের বাকি অংশ এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বেশির ভাগ জেলার বহু অংশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছে। কোন কোন জেলায় প্রবেশ করেছে বর্ষা, তা-ও জানানো হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৪ ১৬:২৮
Share:

অবশেষে দক্ষিণে এল বর্ষা। — ফাইল চিত্র।

অপেক্ষার অবসান! অবশেষে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করল বর্ষা। নির্ধারিত সময়ের ১১ দিন পরে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের বাকি অংশ এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বেশির ভাগ জেলার বহু অংশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছে শুক্রবার। দক্ষিণের কোন কোন জেলায় প্রবেশ করেছে, তা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ জায়গায় মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করলেও ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। কলকাতায় শনিবার থেকে বৃষ্টির কোনও সতর্কতাও নেই। বৃষ্টি কমবে দক্ষিণের সর্বত্রই।

Advertisement

গত ৩১ মে উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছিল দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। কিন্তু তার পর আর খুব একটা এগোয়নি সে। প্রায় একই জায়গায় থেকে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এগিয়েছিল উত্তরবঙ্গে। শুক্রবার উত্তরের বাকি জায়গার পর দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশেও প্রবেশ করেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। তার জেরে বর্ষার আগমন দক্ষিণবঙ্গে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার উত্তরবঙ্গের সব জেলার পর দক্ষিণে উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, কলকাতায় প্রবেশ করেছে বর্ষা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদের বেশির ভাগ অংশ এবং পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম জেলার কিছু অংশেও প্রবেশ করেছে বর্ষা।

Advertisement

উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের পর থেকে বেশ কিছু জেলায় চলেছে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, রবিবার পর্যন্ত উত্তরে কমতে পারে ভারী বৃষ্টি। কেন, তার কারণ জানানো হয়েছে। পশ্চিমে রাজস্থান থেকে পূর্বে মণিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে একটি অক্ষরেখা। সেই অক্ষরেখা উত্তরপ্রদেশ, বিহার, উত্তরবঙ্গ, বাংলাদেশ, অসম, মেঘালয়ের উপর দিয়ে বিস্তৃত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯০০ মিটার উচ্চতায় রয়েছে সেটি। অন্য দিকে, পূর্ব বিহার, পূর্ব উত্তরপ্রদেশের উপর বিস্তৃত রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এই দুইয়ের প্রভাবে উত্তরবঙ্গে রবিবার পর্যন্ত কমতে পারে বৃষ্টি। তার পর আবার বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, রবিবার পর্যন্ত জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সেখানে জারি হলুদ সতর্কতা। আগামী সোম এবং মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিঙে আবার হতে পারে ভারী থেকে অতি ভারী (৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার) বৃষ্টি। সেখানে জারি কমলা সতর্কতা। উত্তর দিনাজপুর, কালিম্পঙে সোমবার হতে পারে ভারী বৃষ্টি। উত্তরে বৃষ্টি নিয়ে সতর্কতা জারি করা হলেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়নি। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, দক্ষিণে বৃষ্টি কমতে পারে।

মৌসম ভবন জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রের কিছু অংশ, বিদর্ভের বাকি অংশ, মধ্যপ্রদেশের কিছু অংশ, ছত্তীসগঢ়, ওড়িশার আরও কিছু অংশের পাশাপাশি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশ এবং উত্তরবঙ্গের বাকি অংশেও প্রবেশ করেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। ঝাড়খণ্ডের কিছু অংশেও প্রবেশ করেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। আগামী তিন-চার দিনে উত্তর আরব সাগরের আরও কিছু অংশ, গুজরাত, মহারাষ্ট্রের বাকি অংশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, ওড়িশা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহারের আরও কিছু অংশে বর্ষা প্রবেশের উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী তিন-চার দিনে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশেও প্রবেশ করতে পারে বর্ষা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement