তামিলনাড়ু সরকারের অবস্থানকে সমর্থন দুই রাজ্যের। ফাইল চিত্র।
বিমানবন্দর বেসরকারি হাতে গেলে আয়ের ভাগ চাইল ছত্তীসগঢ় ও ঝাড়খণ্ডও। এ নিয়ে তামিলনাড়ুর অবস্থানকে সমর্থন করেছে ওই দুই রাজ্য। তারাও জানিয়েছে, কেন্দ্র কোনও বিমানবন্দরকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যকেও আয়ের ভাগ দেওয়া উচিত।
চলতি মাসেই এক নোটে তামিলনাড়ু সরকার জানায়, রাজ্য অনেক ক্ষেত্রেই বিনা মূল্যে কেন্দ্রের এয়ারপোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার হাতে বিনা মূল্যে জমি তুলে দেয়। যদি সেই জমি এয়ারপোর্টস অথরিটি বা কেন্দ্র কোনও তৃতীয় পক্ষের হাতে তুলে দেয় তবে সেই লেনদেন থেকে আয়ের অংশ রাজ্যকে দিতে হবে। কারণ, রাজ্য জমি বাবদ বড় লগ্নি করছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লী ও ছত্তীসগঢ়ের রায়পুর-সহ ১৩টি বিমানবন্দরকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এয়ারপোর্টস অথরিটির পরিচালন পর্ষদ।
ছত্তীসগঢ়ের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী টি এস সিংহদেওয়ের মতে, জমি রাজ্যের সম্পদ। যদি রাজ্য ও কেন্দ্র মিলে কোনও প্রকল্প তৈরি করে তবে মূলধন হিসেবে জমি দেয় রাজ্য। ফলে রাজ্যও সেই প্রকল্পে অংশীদার। সিংহদেওয়ের বক্তব্য, ‘‘প্রকল্প সরকারি হাতে থাকলে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুযায়ী কাজ হবে। কেন্দ্র আয় করবে। সেই আয়ের কিছু অংশ পাবে রাজ্য। কিন্তু বেসরকারি সংস্থাকে প্রকল্প বিক্রি করা হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সম্পদও বিক্রি করা হবে।
পরিকাঠামো ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছে জমিও। রাজ্যকে জমির দাম দেওয়া উচিত।’’
একই মত ঝাড়খণ্ডের অর্থমন্ত্রী রামেশ্বর ওরাঁওয়ের। তাঁর কথায়, ‘‘আমি তামিলনাড়ুর সঙ্গে একমত। জমি রাজ্যের সম্পদ। কেন্দ্রকে জমি, জল ও অন্য সম্পদ দিতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু কেন্দ্র সেই সম্পদ বেসরকারি হাতে তুলে দিলে রাজ্যকে আয়ের অংশ দেওয়া উচিত।’’ বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি বিমান মন্ত্রক। তবে সরকারি সূত্রে খবর, এ নিয়ে সরকারের শীর্ষ স্তরে আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ২০১৯ সালে কেন্দ্র লখনউ, আমদাবাদ, জয়পুর, মেঙ্গালুরু, তিরুঅনন্তপুরম ও গুয়াহাটি বিমানবন্দরকে পিপিপি মডেলে (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ) চালানোর জন্য বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেয়।