খুমুলুঙ ইউনিটি ক্লাবের পুজোর প্রতিমায় ত্রিপুরি জনজাতির পোশাক। ছবি: বাপী রায়চৌধুরী
ত্রিপুরার দুর্গাপুজোয় এ বারও মণ্ডপ এবং প্রতিমা সজ্জায় শিল্পকলা এবং গ্রাম-পাহাড়ের মানুষের জীবনযাত্রার বহু আকর্ষণীয় দিক তুলে ধরা হয়েছে। জীবনযাত্রায় লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এমন বিষয়গুলিকেও কোনও কোনও ক্লাব পুজোর মণ্ডপ সজ্জায় তুলে ধরেছে।
দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার অনুকরণে মন্ডপ যেমন হয়েছে, তেমনই কোনও পুজোয় আন্দামানের জারোয়া সম্প্রদায়ের জীবন যাত্রা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আবার কোথাও থিম হয়েছে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব।
প্রতিমা সজ্জায় এক দিকে পশ্চিমবঙ্গের সাজ রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও ব্যবহার করা হয়েছে ত্রিপুরার জনজাতিদের চিরাচরিত পোশাক। ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলাপরিষদের মুখ্য কার্যালয়ের এলাকায় ‘খুমুলুঙ ইউনিটি’ ক্লাবের মণ্ডপে দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী প্রতিমার গায়ে ত্রিপুরি জনজাতি মহিলাদের চিরাচরিত পোশাক ‘রিগনাই’ পরানো হয়েছে। কোমরের নীচের অংশ আবৃত করার জন্য যে বস্ত্র পরিধান করা হয় তাকে রিগনাই বলা হয় বলে জানান ক্লাবের সম্পাদক মনোজ দেববর্মা। কার্তিক এবং গনেশের প্রতিমার উর্ধাঙ্গে পরানো হয়েছে জনজাতির পোশাক ‘রিসা’।
জনজাতিদের চিরাচরিত পোশাক দুর্গা প্রতিমাকে পরানোর বিষয়ে ক্লাব সম্পাদক বলেন, ‘‘জনজাতিদের নতুন প্রজন্ম যাতে তাঁদের চিরাচরিত পোশাক ভুলে না যায় সে জন্যই পুজোয় ব্যবহার করা হয়েছে এই পোশাক।’’