রানাপ্রতাপের ব্যাখ্যা, সিকিম, লাদাখ, অরুণাচলের সীমান্তের গ্রামগুলিতে সে ভাবে পরিকাঠামো এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। ফাইল ছবি
অরুণাচলের ও-পারে সীমান্তে গ্রামবসতি তৈরি করছে চিন। সেই কৌশলের সঙ্গে লড়তে ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিরও উন্নয়ন প্রয়োজন বলে মনে করেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার (জিওসি ইন সি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রানাপ্রতাপ কলিতা। শনিবার বণিকসভা ‘ভারত চেম্বার অফ কমার্স’-এর একটি অনুষ্ঠানে তিনি জানান, গত বাজেটেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রামোন্নয়নের কথা ঘোষণা করেছেন। সেই প্রকল্প রূপায়িত হলে সীমান্তে ভারতেরও অবস্থানও দৃঢ় হবে।
রানাপ্রতাপের ব্যাখ্যা, সিকিম, লাদাখ, অরুণাচলের সীমান্তের গ্রামগুলিতে সে ভাবে পরিকাঠামো এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। তাই ওই গ্রামের বাসিন্দারা শহরে চলে আসেন। গ্রামের উন্নয়ন হলে তাঁরা সেখানে থাকবেন। ফলে জমি ফাঁকা থাকবে না। উন্নয়নের ক্ষেত্রে পর্যটন শিল্প বড় সহায়ক হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘লুক ইস্ট’ নীতির ক্ষেত্রে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিশেষ জোর দিচ্ছে। রানাপ্রতাপ মনে করেন, উন্নয়নের ক্ষেত্রে শান্তিশৃঙ্খলা প্রধান শর্ত। সেনা সে কাজে তৎপর। তার পাশাপাশি সেনা জনমুখী কার্যকলাপেও শরিক হচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসাবে ডুরান্ড কাপের আসর পূর্বাঞ্চলে হচ্ছে। আগামী বছর বাংলাদেশের ক্লাবকেও আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে।
অনেকেরই প্রশ্ন, সেনার ‘বিশেষ ক্ষমতা’ (আফস্পা) জারি রেখে পুরোপুরি জনমুখী নীতি নেওয়া সম্ভব? রানাপ্রতাপের উত্তর, পরিস্থিতি বিচার করে ইতিমধ্যেই অসমের ২১টি এবং মণিপুর-নাগাল্যান্ডের ৯টি জেলায় আফস্পা প্রত্যাহার হয়েছে। ভবিষ্যতে উপদ্রব কমলে আরও জায়গায় আফস্পা প্রত্যাহার করা হতে পারে বলেও তাঁর ইঙ্গিত। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান অরূপ রাহা, অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের প্রাক্তন কর্তা রাজীব চক্রবর্তী এবং বণিকসভার প্রতিনিধিরা।