ফাইল চিত্র।
কলকাতার কোনও গ্রন্থাগার বা সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি। তাই অধ্যাপক জগদীশ ভট্টাচার্য ও অধ্যাপক দেবীপদ ভট্টাচার্যের ব্যক্তিগত সংগ্রহের সমস্ত বই পরিবারের তরফ থেকে বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনকে দান করা হয়েছিল। সেটা ২০১৮ সালে। ওই দানই শিলচরে একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থাগার তৈরির জন্য আগ্রহী করে তোলে। রবিবার বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য বই এবং পুরনো নথিপত্রের সম্ভার নিয়ে বঙ্গভবনে ওই গ্রন্থাগারের উদ্বোধন হয়েছে। উদ্বোধন করলেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দিলীপচন্দ্র নাথ।
গ্রন্থাগার উপসমিতির আহ্বায়ক অমলেন্দু ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, শুধু দুষ্প্রাপ্য বই সংগ্রহ নয়, বরাক উপত্যকা বিষয়ক এবং উপত্যকার লেখকদের বই সংগ্রহ করে তা সংরক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাওয়া যাবে উন্নত মানের সমস্ত জার্নাল, বরাক উপত্যকা সংশ্লিষ্ট পাণ্ডুলিপি, চিঠিপত্র। শিলচরের শ্যামাপ্রসাদ রোডের আচার্য পরিবার আনন্দবাজার পত্রিকার বহু পুরনো প্রচুর সংখ্যা দান করেছে। রাখা হয়েছে সেগুলিও। বিশাল জায়গা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে রিডিং রুম।
বঙ্গসাহিত্যের কাছাড় জেলা সমিতির সভাপতি তৈমুর রাজা চৌধুরী জানান, বঙ্গভবনে গ্রন্থাগার ও মহাফেজখানা তৈরির পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালে। এর পরই জগদীশ ভট্টাচার্য ও দেবীপদ ভট্টাচার্যের সংগ্রহের বইগুলি পাওয়ায় আগে ‘ভাষাশহিদ মহাফেজখানা’টি উদ্বোধন করা হয়। ২০১৮-র ২৮ ডিসেম্বর এর উদ্বোধন করেছিলেন জগদীশ ভট্টাচার্যের পুত্র রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং দেবীপদ ভট্টাচার্যের পুত্র শুভায়ু ভট্টাচার্য। ওই অনুষ্ঠানে অধ্যাপক বিশ্বনাথ রায় তুলে দিয়েছিলেন তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২০টি এবং শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ১৩টি চিঠি। পরে তিনি অন্নদাশঙ্কর রায়ের ৬টি চিঠিও বঙ্গসাহিত্যকে উপহার দেন। ওই সব দানই গ্রন্থাগার তৈরির ভাবনাকে দ্রুত বাস্তবায়িত করে বলে জানালেন সংগঠনের কর্মকর্তারা।
গ্রন্থাগার তৈরিতে পরামর্শ দেওয়ার জন্য এ দিনের অনুষ্ঠানে শহরের চার কলেজের চার গ্রন্থাগারিক এল মওলেম্বা সিংহ, সরিতা ভট্টাচার্য, সোনালি চৌধুরী ও সেহনারা বেগম চৌধুরীকে সংবর্ধনা জানানো হয়।