রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে রাস্তায় আটকে দুই সেনা অফিসারকে মারধর এবং তাঁদের সঙ্গী এক মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে, এই ঘটনাই তার প্রমাণ।’’
ইনদওর জেলার মহু-মণ্ডলেশ্বর সড়কে বুধবার রাতে ওই হামলা এবং গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছ। পুলিশ জানিয়েছে, আক্রান্ত দুই সেনা অফিসার মহুর ‘স্কুল অফ ইনফ্যান্ট্রি’-তে প্রশিক্ষণাধীন। বান্ধবীদের নিয়ে পিকনিকে যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হন তাঁরা। দুই অফিসার এবং নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও কোনও গ্রেফতারির খবর পাওয়া যায়নি।
ইনদওরের বদগোন্ডা থানার ওসি লোকেন্দ্র সিংহ হিরোর জানিয়েছেন, একটি গাড়ি করে ২৩-২৪ বছরের দুই ট্রেনি অফিসার এবং তাঁদের দুই বান্ধবী পিকনিক করতে যাচ্ছিলেন। বুধবার রাত ২টো নাগাদ রাস্তার ধারে একটি স্থানে তাঁরা গাড়ি দাঁড় করিয়েছিলেন। সে সময়ই ৬-৭ জন দুষ্কৃতীর দল হঠাৎ এসে হামলা চালায়। দুই অফিসারকে প্রচণ্ড মারধর করে তারা। এর পর তাঁদের সঙ্গী দুই তরুণীর এক জনকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। রাহুল বলেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশে অপরাধীরা কী ভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, এর থেকেই তা বোঝা যাচ্ছে।’’
প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের পরে রাহুল তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক্স পোস্টে লিখেছিলেন, ‘‘কলকাতায় এক জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের জঘন্য ঘটনায় হতবাক গোটা দেশ। যে ভাবে তাঁর উপর নৃশংস, অমানবিক অত্যাচার হয়েছে, তাতে চিকিৎসক সমাজ এবং নারীদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ স্পষ্ট।’’ এর পরেই রাজ্যকে নিশানা করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ন্যায়বিচার নিশ্চিত না করে অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা হাসপাতাল ও স্থানীয় প্রশাসন সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। এই ঘটনা আমাদের ভাবতে বাধ্য করেছে যে, মেডিক্যাল কলেজের মতো জায়গায় যদি চিকিৎসকেরা নিরাপদ না থাকেন, তা হলে অভিভাবকেরা কোন ভরসায় তাঁদের মেয়েকে পড়তে পাঠাবেন?’’