China

China and Pakistan: সার্বভৌমত্ব নিয়ে পাক-চিনকে বার্তা

জয়শঙ্কর বলেছেন, যে কোনও পরিকাঠামোগত সংযোগের উদ্যোগ হওয়া উচিত স্বচ্ছ এবং সংশ্লিষ্ট সব দেশের স্বার্থ মেনে। অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২১ ০৬:০৩
Share:

পাকিস্তান, চিনকে বার্তা ভারতের। ফাইল চিত্র।

চিন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে এক মঞ্চ ভাগ করেই তাদের দিকে আঙুল তুললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভিডিয়ো মাধ্যমে হওয়া সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন তথা এসসিও-র ‘হেড অব কাউন্সিল’-এর বৈঠকে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। জয়শঙ্কর বলেছেন, যে কোনও পরিকাঠামোগত সংযোগের উদ্যোগ হওয়া উচিত স্বচ্ছ এবং সংশ্লিষ্ট সব দেশের স্বার্থ মেনে। অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করে।

Advertisement

কূটনৈতিক সূত্রের মতে, এই বার্তা দেওয়া হয়েছে মূলত চিন এবং কিছুটা পাকিস্তানকে। চিনের মহাযোগাযোগ প্রকল্প ‘ওবর’-এর অন্তর্গত ‘সিপিইসি’ অর্থাৎ চিন-পাক বাণিজ্যিক করিডর নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ভারত।
কারণ, চিন-পাকিস্তানের সংযোগকারী এই বাণিজ্য সড়ক যাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে। কাশ্মীর সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এখানে কোনও আন্তর্জাতিক উদ্যোগ চলবে না, এটা সাউথ ব্লকের স্থায়ী অবস্থান। কিন্তু কার্যত নয়াদিল্লির নাকের ডগায় চলেছে সিপিইসি-র কাজ।

এসসিও-তে পাকিস্তান ও চিনও রয়েছে। আজ সকলের উপস্থিতিতে জয়শঙ্কর বলেন, “অতিমারি পরবর্তী বিশ্বে অর্থনীতিকে টেনে তুলতে হলে আরও বৃহত্তর সংযোগ খুবই জরুরি। কিন্তু যে কোনও সংযোগ প্রকল্পকেই হতে হবে স্বচ্ছ, সহযোগিতাপূর্ণ। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই তা বাস্তবায়িত করা উচিত। আন্তর্জাতিক আইনের সবচেয়ে মৌলিক যে ভিত— অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে মান্য করার বিষয়টিকেও অবশ্যই ধর্তব্যের মধ্যে রাখতে হবে।”

Advertisement

আজ আফগানিস্তানের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির নেতাদের উপস্থিতিতে বিদেশমন্ত্রী ভারত-আফগানিস্তান-ইরানের চাবাহার প্রকল্পের প্রসঙ্গে বলেন, “মধ্য এশিয়ার সঙ্গে সংযোগের জন্য চাবাহার বন্দর প্রকল্পের কাজ শুরুতে পদক্ষেপ করছে ভারত।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement