(বাঁ দিকে) বাবা সিদ্দিকি। সিদ্দিকি খুনে অন্যতম অভিযুক্ত শিব কুমার (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা (অজিত গোষ্ঠী) বাবা সিদ্দিকি খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। সেই আবহেই এই খুনের অন্যতম অভিযুক্ত শিব কুমারের কয়েকটি ইনস্টাগ্রাম পোস্ট প্রকাশ্যে এসেছে। (যদিও এই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সাদা এবং ছাইরঙা ছাপা জামা, জিন্স পরে একটি বাইকে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শিব কুমার। গত জুলাইয়ে সেই ছবি পোস্ট করেন তিনি। ছবির সঙ্গে ক্যাপশনে কোনও এক বন্ধুর উদ্দেশে লেখেন, ‘‘দেখ, তোর বন্ধু এখন গ্যাংস্টার।’’
ওই মাসেই শিব কুমার আরও একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘আমার বাবা ভাল মানুষ হতে পারেন, আমি নই।’’ তাঁর আরও একটি পোস্টে দক্ষিণের অভিনেতা যশ অভিনীত ‘কেজিএফ’ ছবির একটি সংলাপ তুলে ধরেছিলেন তিনি। গত অগস্টে করা ওটাই ছিল তাঁর শেষ ইনস্টাগ্রাম পোস্ট। বাবা সিদ্দিকি খুনে যে তিন জনের নাম উঠে এসেছে, তার মধ্যে শিব কুমার অন্যতম। বাকি দুই অভিযুক্ত গুরমেল বলজিৎ সিংহ এবং ধর্মরাজ রাজেশ কাশ্যপ ধার পড়লেও শিব কুমার কিন্তু পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাবা সিদ্দিকির খুনের ঘটনার পর বান্দ্রা থেকে রিকশায় চেপে কুরলা স্টেশনে আসেন অভিযুক্ত শিব কুমার। তার পর কুরলার হারবার লাইন থেকে ট্রেন ধরে পানভেল পৌঁছন। পানভেল স্টেশনেই তাঁকে শেষ বার দেখা যায়। পুলিশ মনে করছে, ওই স্টেশন থেকেই কোনও এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে রাজ্য ছেড়েছেন শিব কুমার।
রবিবার রাতে পুণে থেকে প্রবীণ লোঙ্কার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দাবি, এই ব্যক্তি এবং তাঁর ভাই শুভম সিদ্দিকি খুনের অন্যতম ‘ষড়যন্ত্রী’। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রবীণের ভাই শুভম সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে জানান, সিদ্দিকি খুনের দায় নিচ্ছে লরেন্স বিশ্নোই গ্যাং। তাঁর দাদা প্রবীণ দুই শুটার গুরমেল এবং ধর্মরাজকে আশ্রয় দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
গত শনিবার সন্ধ্যায় নিজের কার্যালয়ের বাইরে খুন হন বাবা সিদ্দিকি। তাঁর পুত্র জিশানও হামলাকারীদের নিশানায় ছিলেন। কিন্তু সেই সময় তিনি না থাকায় বেঁচে গিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।