Baba Siddique Murder Case

সিদ্দিকি খুনে বিশ্নোই গ্যাং কি আদৌ জড়িত? তদন্তের পরিধি শুধু লরেন্স-সলমনে সীমিত রাখছে না পুলিশ

বিশ্নোই গ্যাং কি আদৌ জড়িত? প্রত্যক্ষ যোগ না কি স্রেফ ভাড়াটে খুনি হিসাবে ব্যবহার? বাবা সিদ্দিকি খুনের নেপথ্যে ‘লরেন্সের দুষ্কৃতী দল’ তত্ত্বের বাইরেও তদন্তের পরিধি বিস্তার করেছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ১০:১০
Share:

(বাঁ দিক থেকে) মুম্বইয়ের গ্য়াংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই, নিহত এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি এবং বলিউড অভিনেতা সলমন খান। —ফাইল ছবি।

বাবা সিদ্দিকির খুনের মামলায় আবার চর্চায় উঠে এসেছে লরেন্স বিশ্নোইয়ের দুষ্কৃতী দলের প্রসঙ্গ। কাটাছেঁড়া চলছে বিশ্নোই গ্যাংয়ের যোগসাজশ নিয়ে। ওই দুষ্কৃতী দলের যোগ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে মুম্বই পুলিশও। তবে শুধুমাত্র বিশ্নোই গ্যাংয়ের মধ্যেই তদন্তকে সীমাবদ্ধ রাখছে না পুলিশ। প্রাক্তন মন্ত্রীর খুনের নেপথ্যে আরও কী কী কারণ থাকতে পারে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

সমাজমাধ্যমে এক ব্যবহারকারী নিজেকে বিশ্নোই গ্যাংয়ের সদস্য হিসাবে দাবি করে লিখেছেন, “দাউদের গ্যাং ও সলমন খানকে সাহায্য করলে কোনও ছাড় পাওয়া যাবে না। যাঁরা সাহায্য করছেন, তাঁরা সমস্ত হিসাব ঠিক রাখুন।” সলমনের সঙ্গে সিদ্দিকির ব্যক্তিগত সুসম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। আর সিদ্দিকি খুনের পরেই সমাজমাধ্যমে ওই পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও পুলিশ সব দিক বিবেচনা করেই এগোতে চাইছে।

বিশ্নোই গ্যাংয়ের যদি আদৌও কোনও যোগ পাওয়া যায় এই খুনে, তবে তারা কি প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত? না কি স্রেফ ভাড়াটে খুনি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল লরেন্সের দুষ্কৃতী দলের সদস্যদের? দ্বিতীয় সম্ভাবনাটি একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। সে ক্ষেত্রে বিশ্নোই গ্যাংকে কে বা কারা ভাড়াটে খুনি হিসাবে ব্যবহার করেছিল— তা-ও তদন্তের আওতায় রাখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ, বাবা সিদ্দিকি খুনের পর এখনও পর্যন্ত অনুসন্ধান চালিয়ে পুরনো বেশ কিছু শত্রুতার তত্ত্ব উঠে এসেছে।

Advertisement

জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে অতীতে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন সিদ্দিকি। সেটি ২০১৫ সালের ঘটনা। মুম্বইয়ের বান্দ্রার ওই ব্যবসায়ী নাকি দাউদ গ্যাংয়ের সদস্য ছোটা শাকিলকে দিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন সিদ্দিকিকে। তা নিয়ে থানায় অভিযোগও জানিয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। পরে অবশ্য ২০১৮ সালে বিষয়টি মিটমাট হয়ে গিয়েছিল। তবে সিদ্দিকি খুনের পর পুরনো সেই অভিযোগের দিকেও নজর রাখছে পুলিশ। দু’টি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ ছাড়া সম্প্রতি সিদ্দিকির সঙ্গে এক জন নির্দিষ্ট ব্যবসায়ীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য এসেছিল। ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে কাজ না করার কথা বলে সিদ্দিকি লিফলেট বিলি করেছিলেন বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। এই সব তথ্যগুলিকে আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে চাইছে মুম্বই পুলিশ। সে ক্ষেত্রে আদৌ বিশ্নোই গ্যাংয়ের যোগ রয়েছে, না কি নেপথ্যে অন্য কেউ এই খুনের সঙ্গে জড়িত— সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement