বদ্রীনাথ হাইওয়েতে আবার ধস। ছবি: এক্স।
ধস সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কারের মাঝেই আবার হুড়মুড়িয়ে পাহাড় থেকে নেমে এল ধস। বরাতজোরে বাঁচলেন কর্মীরা। সেই ঘটনার ভয়ঙ্কর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। (যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন )। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ভারী ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ করছিলেন একদল কর্মী। আচমকাই বড় বড় পাথরের চাঁই পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নীচে নেমে আসে। যন্ত্রপাতি ফেলে দিয়ে কোনও রকমে সরে যান তাঁরা।
বুধবার উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে বিশাল ধস নামে। বদ্রীনাথ হাইওয়ের একাংশ সেই ধসের কারণে বন্ধ হয়ে যায়। এই রাস্তা ধরেই পুণ্যার্থীরা চারধাম যাত্রায় যান। ফলে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। কিন্তু ধসের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সমস্যায় পড়েছেন পুণ্যার্থীরা। চামোলিতে বদ্রীনাথ হাইওয়ের উপর বৃহস্পতিবার সকালে আবারও ধস নামায় সমস্যা আরও বেড়েছে। বিপাকে কয়েক হাজার পুণ্যার্থী। যদিও সেই ধস সরিয়ে দ্রুত রাস্তা পরিষ্কারের কাজ করা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
বুধবার পাতালগঙ্গার কাছে বদ্রীনাথ হাইওয়ের উপর একটি সুড়ঙ্গের মুখে ধস নেমেছিল। ফলে সুড়ঙ্গের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্তও হয়। নিরাপত্তার কারণে হাইওয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় তার পর পরই। সেই ধস সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু জোশীমঠের কাছে ধস নামায় পাতালগঙ্গা লাংসি সুড়ঙ্গ বন্ধ হয়ে যায়। চামোলির জেলাশাসক হিমাংশু খুরানা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছিলেন, জোশীমঠের ভানেরপানির কাছে বদ্রীনাথ হাইওয়েতে ধসের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পুণ্যার্থীরা হেঁটেই ওই এলাকা পার করছেন।
উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে জায়গায় জায়গায় ধস নামছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থাও ব্যাহত হচ্ছে। জোশীমঠ, বদ্রীনাথ, নিতি, মানা, তপোবন, মালারি, লাটা, রাইনি, পাণ্ডুকেশ্বর এবং হেমকুণ্ড সাহিবে ধস নেমেছে। দু’হাজারেরও বেশি পুণ্যার্থী হেমকুণ্ড সাহিবের কাছে আটকে রয়েছেন।