Landslide In Himachal

ভূমিধসের কারণে অবরুদ্ধ সিমলা থেকে চণ্ডীগড় সংযোগকারী জাতীয় সড়ক, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

প্রবল বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত হিমাচলের জনজীবন এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এর মধ্যেই আবহাওয়া দফতর শুক্রবার এবং শনিবার সে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কমলা সতর্কতা জারি করেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

সিমলা শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৩ ১০:০৮
Share:

অবরুদ্ধ সিমলা থেকে চণ্ডীগড় সংযোগকারী জাতীয় সড়ক। ছবি: টুইটার।

হিমাচল প্রদেশের সোলান জেলায় নতুন করে ভূমিধসের কারণে অবরুদ্ধ সিমলা থেকে চণ্ডীগড় সংযোগকারী জাতীয় সড়ক। বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল। বুধবার সকালে সোলানের ধরমপুর এবং পরওয়ানুর মাঝামাঝি চাকির মোড়ে এই ভূমিধস হয়। যার ফলে প্রায় ৫০ মিটার রাস্তা ধসের নীচে চলে গিয়েছে। ন’ঘণ্টা পর হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য একটি ছোট রাস্তা খুলে দেওয়া হলেও বেলাগাম বৃষ্টির কারণে রাস্তাটি আবার বন্ধ হয়ে যায়। জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হওয়ার কারণে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্তও সেই অবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়নি। সিমলা এবং সোলানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রাস্তায় আটকে প্রায় ১০০টি ট্রাক-সহ বিপুল সংখ্যক যানবাহন।

Advertisement

যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কারণে চণ্ডীগড় থেকে আসা অনেক হালকা গাড়ি পরওয়ানু-কসৌলী-জঙ্গুশু রোড ধরে যাচ্ছে। সোলান থেকে আসা যানবাহনগুলি যাচ্ছে ভোগনগর-বনাসর্ক হয়ে। সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রচুর সংখ্যক উদ্ধারকর্মী এবং যন্ত্রপাতি মোতায়েন করে পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে।

প্রসঙ্গত, প্রবল বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত হিমাচলের জনজীবন এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এর মধ্যেই আবহাওয়া দফতর শুক্রবার এবং শনিবার সে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কমলা সতর্কতা জারি করেছে। বৃহস্পতিবারও ভারী বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে।

Advertisement

মৌসম ভবন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে হিমাচলের চাম্বা, কাংড়া, সিমলা, কুলু, মান্ডি, বিলাসপুর, হামিরপুর, উনা, সোলান এবং সিরমাউর জেলাগুলি।

প্রসঙ্গত, ২৪ জুন বর্ষা শুরুর পর থেকে হড়পা বান, মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, ভূমিধস এবং সড়ক দুর্ঘটনার কারণে হিমাচলে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১৯৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন কমপক্ষে ৩১ জন। হড়পা বান এবং ভূমিধসের কারণে সে রাজ্যের প্রায় ৩০০টি রাস্তায় এখনও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement