লালুপ্রসাদ যাদব এবং নীতীশ কুমার। ফাইল চিত্র।
রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ‘জমির বদলে চাকরি’ দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে শুক্রবার চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। শনিবার এই মামলায় লালুর পাশে দাঁড়ালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি বললেন, ‘‘ওই মামলার খুঁটিনাটি আমার জানা। অভিযোগের কোনও ভিত্তিই নেই। কেবলমাত্র জেডি(ইউ)-র সঙ্গে জোট গড়েছেন বলে লালুর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত করা হল।’’
শুধু লালুপ্রসাদ নন, শুক্রবার সিবিআইয়ের তরফে পেশ করা চার্জশিটে লালু-পত্নী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী, লালুর দুই কন্যা মিসা ভারতী এবং হেমা যাদবের নামও রয়েছে। এ ছাড়াও আরও ১২ জনের নাম রয়েছে চার্জশিটে। এর আগে লালুর ছেলে তথা বিহারের মহাগঠনবন্ধন সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের নাম ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড টুরিজম কর্পোরেশন (আইআরসিটিসি) দুর্নীতির মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে।
যদিও আদালতে সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে, লালুপ্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকার সময় বিভিন্ন ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে মুম্বই, জব্বলপুর, কলকাতা-সহ রেলের বিভিন্ন জ়োনে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন। অবৈধ উপায়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়েছিলেন অভিযুক্তেরা। সিবিআইয়ের দাবি, অনেকেই জমি বিক্রি করে এই টাকা জোগাড় করেছিলেন।
একই ভাবে রাঁচী ও পুরীতে আইআরসিটিসি দু’টি হোটেল বণ্টনের টেন্ডারে দুর্নীতির প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সংস্থার অভিযোগ, লালু যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, সে সময় রেলের ওই দু’টি হেরিটেজ হোটেলের টেন্ডার একটি বেসরকারি সংস্থাকে পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছিলেন। পরিবর্তে সেই সংস্থার কাছ থেকে দু’একর জমি নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে লালুর বিরুদ্ধে।