তেজস্বী যাদব। —ফাইল চিত্র
শেষ পর্যন্ত মুসলিম ভোটকে সঙ্গে রাখতে বাবার পরামর্শেই সিওয়ানে সাহাবুদ্দিনের পরিবারের দ্বারস্থ হলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দকে সরিয়ে আগামী লোকসভা ভোটকে মাথায় রেখেই দলের বাহুবলী নেতার বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী ও বাবার সঙ্গে একান্তে দেখা করেন তেজস্বী।
বাবার পথে হেঁটেই লোকসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনকে মজবুত করতে চাইছেন তিনি। বিজেপি-বিরোধী মহাজোট তৈরিতে লালুপ্রসাদের পুরনো ‘মুসলিম-যাদব’ সমীকরণকে নিয়েই এগোতে চাইছেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য জুড়ে ‘ন্যায় যাত্রা’ শুরু করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। সেই কর্মসূচির দ্বিতীয় দফার শুরুতেই তিহাড় জেলে বন্দি দলের প্রাক্তন সাংসদ সাহাবুদ্দিনের সিওয়ানের গ্রাম প্রতাপপুরে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক থেকে দূরে রাখা হয় দলের অন্য নেতাদের। কাউকে সঙ্গে নিয়ে যাননি তিনি। দায়িত্ব পাওয়ার পরে সাহাবুদ্দিনকে গুরুত্ব দিতে প্রাথমিক ভাবে নারাজ ছিলেন তেজস্বী। এমনকি দলের কর্মসমিতিতে তাঁকে রাখা নিয়েও আপত্তি জানান তেজস্বী। লোকসভা ভোটে সিওয়ান কেন্দ্রে সাহাবুদ্দিনের পরিবারের কাউকে টিকিট দেওয়ারও ঘোর বিরোধী ছিলেন। ঘনিষ্ঠ মহলে তা জানান তেজস্বী। ২০১৪ সালে সিওয়ানে বিজেপি প্রার্থী ওমপ্রকাশ যাদবের কাছে হেরে যান সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী হিনা সাহিব। ২০০৯-এও হারেন। সেই কারণ দেখিয়ে তেজস্বী ২০১৯ সালে সাহাবুদ্দিনের পরিবারকে টিকিট দিতে রাজি ছিলেন না।
কিন্তু উত্তর বিহারের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে ইদানীং আরজেডির দূরত্ব লক্ষ্য করেই লালুপ্রসাদের পরামর্শে সেই সাহাবুদ্দিন পরিবারের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হন তিনি। পূর্বাঞ্চলে তসলিমুদ্দিন মারা গিয়েছেন। তাঁর ছেলেরা সাংসদ, বিধায়ক হলেও নিজের এলাকার বাইরে সে ভাবে তাঁদের প্রভাব নেই। এই অবস্থায় সিওয়ানের বাহুবলী, তিহার জেলে বন্দি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনকে সামনে রেখেই এগোতে বাধ্য হচ্ছে আরজেডি।