কন্যা রোহিণীর সঙ্গে লালুপ্রসাদ যাদব। — ফাইল ছবি।
কিডনি প্রতিস্থাপন করাতে সিঙ্গাপুর পৌঁছে গেলেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। বিমানবন্দরে তাঁকে জড়িয়ে ধরে স্বাগত জানান লালুকন্যা রোহিণী। রোহিণীই কিডনি দেবেন ‘পাপা’কে।
আগামী শনিবার সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার হবে লালুর। সে জন্য শনিবারই সিঙ্গাপুর পৌঁছে গেলেন তিনি। সঙ্গে মেয়ে মিসা ভারতী। অপর কন্যা রোহিণী তাঁদের বিমানবন্দরে নিতে আসেন। সেখানকারই ভিডিয়ো টুইট করেছেন রোহিণী। সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, একটি হুইল চেয়ারে বসে বিমানবন্দর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে লালুকে। তাঁর গায়ে সাদা শাল জড়ানো। পিছনে মেয়ে মিসা। হুইলচেয়ার একটু এগোতেই দেখা যায় আর এক মেয়ে রোহিণী ছুটে এসে প্রণাম করছেন লালুকে। লালু তাঁকে আলগোছে আশীর্বাদও করেন।
দীর্ঘ দিন ধরেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দেশে বিজেপি বিরোধী শক্তির অন্যতম মুখ লালু। কিছু দিন আগেই দিল্লির এমসে এ জন্য ভর্তিও থাকতে হয়েছিল তাঁকে। সেই সময় লালুর সিঙ্গাপুরস্থিত মেয়ে রোহিণী সেখানকার চিকিৎসকদের সঙ্গে বাবার স্বাস্থ্য নিয়ে পরামর্শ করেন। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকেরা তাঁকে পরামর্শ দেন, লালুর কিডনি প্রতিস্থাপন করানোর। রোহিণী নিজের একটি কিডনি বাবাকে দিতে চান। কিন্তু তা নিয়ে পটনার যাদব বাড়িতে শুরু হয় মতান্তর। রাজি ছিলেন না লালু নিজেই। কিন্তু হাল ছাড়েননি রোহিণী। ধারাবাহিক ভাবে বোঝাতে বোঝাতে এক সময় কাজ হয়। মেয়ের কিডনি নিতে রাজি হয়ে যান আরজেডি প্রতিষ্ঠাতা।
বাবাকে কিডনি দেওয়া প্রসঙ্গে রোহিণী টুইটে লিখেছিলেন, ‘‘মাংসের একটা ছোট্ট পিণ্ড আমি বাবাকে দিতে চাই। আমি তাঁর জন্য সব কিছু করতে পারি। আমার একান্ত অনুরোধ, সবাই প্রার্থনা করুন যাতে সব ভালয় ভালয় মিটে যায় এবং বাবা একদম সুস্থ হয়ে ওঠেন। আগের মতোই আপনাদের পাশে দাঁড়াতে পারেন।’’ আগামী ৫ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে লালুর কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা।
পশু খাদ্য কেলেঙ্কারিতে জামিনে মুক্ত আছেন লালু। তিনি গত মাসে এক বার সিঙ্গাপুর এসেছিলেন। তখন চিকিৎসকেরা তাঁর বিভিন্ন পরীক্ষা করান এবং ডিসেম্বরের ৫ তারিখ অস্ত্রোপচারের দিন স্থির হয়। শনিবারই দিল্লির একটি আদালত লালুর সঙ্গে সিঙ্গাপুর যেতে অনুমতি দিয়েছে মেয়ে মিসাকে। সেই মতোই মেয়ের সঙ্গে সিঙ্গাপুর যান লালু।