ললিত মোদী। —ফাইল চিত্র।
আইপিএল কেলেঙ্কারির মূল পান্ডা হিসেবে অভিযুক্ত তিনি। নিলামে দুর্নীতি করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ৭৫৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও করেছে বিসিসিআই। তার পরেই গোপনে দেশ ছেড়ে লন্ডনে পালানোর অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই প্রাক্তন ক্রিকেট-কর্তা ললিত মোদীর দাবি, দুর্নীতি ব্যাপারটা তিনি মোটেও সইতে পারেন না। গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিম ম্যাচ গড়াপেটা করতে না পেরে তাঁকে খুনের হুমকি দিচ্ছিল বলেই লন্ডনে চলে গিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি এক ভারতীয় ইউটিউবারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ললিতের দাবি, “চাইলে তো কাল সকালেই ভারতে যেতে পারি। আইনি দিক থেকে তো ফেরার নই। আমার বিরুদ্ধে ভারতের কোনও আদালতে একটা মামলাও নেই।’’
দেশ ছাড়ার পরে গত এক দশকের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ললিতকে নাগালে পেতে চাইছে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী সরকারের আমলে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত থমকে গিয়েছে। প্রত্যর্পণেও আগ্রহী নয় ভারত। মোদী সরকারের বিদেশমন্ত্রী প্রয়াত সুষমা স্বরাজ এবং রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া তাঁর লন্ডনবাস নির্ঝঞ্ঝাট করতে ব্রিটিশ সরকারকে সুপারিশ করেন বলেও অভিযোগ। ওই সাক্ষাৎকারে সে সব প্রসঙ্গ এড়িয়ে ললিতের দাবি, “(মুম্বই) পুলিশের ডেপুটি কমিশনার হিমাংশু রায় বিমানবন্দরে আমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বলেছিলেন, ‘তোমাকে আর আগলাতে পারব না। তোমার প্রাণের ঝুঁকি আছে। বড়জোর ১২ ঘণ্টার জন্য নিরাপত্তা দিতে পারব।’’ সেই রাতেই তিনি দেশ ছাড়েন বলে জানিয়েছেন ললিত। তাঁর দাবি, গাড়িতে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেন এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।