Lakhimpur Kheri

Lakhimpur Kheri case: লখিমপুর: নজরদারির দায়িত্ব বিচারপতি জৈনকে

পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রাকেশকুমার জৈনকে এই তদন্তে প্রাত্যহিক নজরদারির জন্য নিযুক্ত করল সর্বোচ্চ আদালত।

Advertisement

নয়াদিল্লি

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২১ ০৭:৫৫
Share:

ফাইল চিত্র।

লখিমপুর খেরিতে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদের গাড়িতে পিষে মারার ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের ‘সিট’ (বিশেষ তদন্তকারী দল) যে তদন্ত শুরু করেছে, তার গতিপ্রকৃতি দেখে গোড়া থেকেই অসন্তুষ্ট ছিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতিরা বিভিন্ন সময়ে মন্তব্য করেছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে অন্যতম অভিযুক্ত আশিসকে রক্ষাই যেন তদন্তের উদ্দেশ্য। কৃষকদের সাক্ষ্যটুকুও নেওয়া হয়নি তদন্তে। এ বার পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রাকেশকুমার জৈনকে এই তদন্তে প্রাত্যহিক নজরদারির জন্য নিযুক্ত করল সর্বোচ্চ আদালত। লখিমপুর খেরির ঘটনার তদন্ত যাতে ‘নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন’ ভাবে হয়, বিচারপতি জৈনকে বুধবার তা দেখার দায়িত্ব দিল

Advertisement

সুপ্রিম কোর্ট।

বস্তুত আগের শুনানিগুলিতেই প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনা মন্তব্য করেছিলেন, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নিয়োগ করা সিট লখিমপুর খেরির ঘটনার যে তদন্ত করছে, কোনও ভাবেই তাকে নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু বলা যায় না। বার বার সতর্ক করে দেওয়ার পরেও তদন্তের ঢিলেমি কাটছে না। তবে এ নিয়ে বেশি কথা বললে সেটা রাজনৈতিক রং বলে মনে হতে পারে। তার চেয়ে হাই কোর্টের কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে তদন্তের উপরে নজরদারির দায়িত্ব দিতে চান তাঁদের বেঞ্চ। উত্তরপ্রদেশ সরকার জানায়, সুপ্রিম কোর্ট এমন সিদ্ধান্ত নিলে তাদের কিছু বলার নেই। এর পরে বুধবার বিচারপতি রাকেশকুমারকে নিয়োগ করল সুপ্রিম কোর্ট। এই ঘটনায় ভোটের আগে যে যোগী সরকারের একপ্রস্ত মুখ পুড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তদন্তে নিরপেক্ষতার অভাব নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে ভাবে প্রতিটি শুনানিতে প্রশ্ন তুলেছে, অবশেষে তদন্তের নজরদারির ভার সরকারের হাত থেকে নিয়ে বিচারপতির হাতে দিয়েছে, তাতে স্পষ্ট— যোগী প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে ন্যুনতম আস্থা সর্বোচ্চ আদালতের নেই, রাজ্যে ভোটের আগে যে সরকারের গুণগানে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।

Advertisement

সোমবার তদন্ত কমিটির সদস্যদের নিয়েও আপত্তি জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি রমণা নির্দেশ দিয়েছিলেন, সিট-এর গঠন বদলে তাতে আরও উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারদের নিয়ে আসতে হবে। বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেছিলেন, সিট-এ প্রায় সব সদস্যই লখিমপুরের। এটা কেন হবে? লখিমপুরের বাইরে রাজ্যের আর কোনও পুলিশ অফিসার নেই? লখিমপুরে কর্তব্যরত নয় উত্তরপ্রদেশ ক্যাডারের এমন আইপিএস-দের তালিকা চান বিচারপতি। এর পরে আজ আরও তিন জন আইপিএস-কে সিট-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement