পিছু হঠতে নারাজ স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান কুণাল কামরা। —ফাইল চিত্র।
সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনা করে আদালত অবমাননায় মামলার মুখে পড়লেও পিছু হঠতে নারাজ স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান কুণাল কামরা। শুক্রবার এ নিয়ে কুণাল জানিয়েছেন, এ নিয়ে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই। এমনকি, সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনায় তাঁর টুইটগুলিও সরাবেন না।
শুক্রবার টুইটারেই নিজের অনড় মনোভাব জানিয়েছেন কুণাল। এ দিন তিনি লিখেছেন, ‘টুইটগুলো প্রত্যাহার করার বা ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই উঠে না। আমার মনে হয় যে যা বলার তা ওই টুইটগুলিতেই বলা রয়েছে’। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে তিনি যে আইনি লড়াইয়ের কথা চিন্তা-ভাবনা করছেন না, তেমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন। আরও একটি টুইটে কুণাল লিখেছেন, ‘কোনও আইনজীবী নয়, ক্ষমা নয়, জরিমানা নয়, স্থানের অপচয়ও নয়’।
রিপাবলিক টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক অর্ণব গোস্মামীর জামিন প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনা করে একের পর এক টুইট করেছিলেন কুণাল। অর্ণবের বিরুদ্ধে ইন্টিরিয়র ডিজাইনার অন্বয় নাইক এবং তাঁর মা কুমুদ নাইককে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগ রয়েছে। তবে ওই মামলায় গ্রেফতারির এক সপ্তাহ পর অর্ণবকে জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এর পরই সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনা করে ধারাবাহিক টুইট করেন কুণাল। তাতে আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে কুণালের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরুর জন্য আইনজীবী-সহ আট জনের আবেদন অনুমোদন করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল। অ্যাটর্নি জেনারেলের মতে, সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনা করে নিজের সীমা অতিক্রম করেছেন কুণাল। মামলা প্রক্রিয়া শুরুর জন্য এক আইনজীবীর আবেদনের উত্তর দিতে গিয়ে একটি চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টকে অযৌক্তিক ভাবে এবং নির্লজ্জের মতো আক্রমণ করলে যে শাস্তির মুখে পড়তে হবে, তা মানুষের বোঝার সময় এসেছে’।
অর্ণবের জামিন প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে কুণাল যে নিজের সীমা ছাড়িয়েছেন এবং সুপ্রিম কোর্টে এবং তার বিচারপতিদের ব্যঙ্গোক্তি করেছেন, সে কথা উল্লেখ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তাঁর মন্তব্য, “আজকাল মানুষ খুব সাহসী হয়ে নির্লজ্জের মতো সুপ্রিম কোর্ট এবং বিচারপতিদের সমালোচনা করে মনে করে এটাই বাক্-স্বাধীনতা।”
আরও পড়ুন: ২৬/১১-এর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের কাছে ন্যায়বিচারের আহ্বান ভারতের
আরও পড়ুন: পর পর ‘ইঙ্গিতবহ’ টুইট, এ বার কি শেষ পর্যন্ত সোমেন-পুত্রও মমতার তৃণমূলের পথে
এই প্রথম নয়, অর্ণবকে জড়িয়ে আগেও বিপাকে পড়েছিলেন কুণাল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে লখনউগামী ইন্ডিগোর বিমানে অর্ণবের সঙ্গে অপ্রীতিকর আচরণের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় ইন্ডিগো-সহ দেশের বহু বিমান সংস্থা তাদের উড়ানে কুণালের যাত্রা নিষিদ্ধ করে। ফের একবার সেই অর্ণবকে জড়িয়েই আদালত অবমাননায় অভিযোগ কুণালের বিরুদ্ধে।