মথুরার শ্রীকৃষ্ণ মন্দির এবং শাহি ইদগাহ মসজিদ। ফাইল চিত্র।
বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের পরে এ বার দ্বন্দ্বের কেন্দ্রে মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদ। উত্তরপ্রদেশের মন্দিরনগরীর প্রাচীন ইদগাহটি সরানোর দাবিতে হিন্দুত্ববাদীদের দায়ের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার নতুন করে মামলার শুনানিতে সম্মতি দিয়েছে মথুরা আদালত। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী হরিশঙ্কর জৈন বলেছেন, ‘‘আদালত এ বিষয়ে দায়ের হওয়া একাধিক আবেদনের মধ্যে একটি গ্রহণ করেছে।’’ সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় গৌড় বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘জেলা দেওয়ানি আদালতের বিচারক রাজীব ভারতী দু’পক্ষেরই বক্তব্য শুনেছেন।’’
মথুরার প্রাচীর কাটরা স্তূপ (যা কাটরা কেশবদাস নামে পরিচিত) এলাকায় ‘শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান কমপ্লেক্সের পাশেই রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, ইদগাহের ওই জমিতে কৃষ্ণের গর্ভগৃহে ছিল প্রাচীন কেশবদাস মন্দির। কাশীর ‘আসল বিশ্বনাথ মন্দিরের’ মতোই মথুরার মন্দিরটিও ধ্বংস করেছিলেন মুঘল সম্রাট অওরঙ্গজেব। অভিযোগ, সেখানে শাহি ইদগাহ মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন তিনি।
জ্ঞানবাপী মসজিদের মতো শাহি ইদগাহেও রয়েছে ‘হিন্দুত্বের প্রমাণ’। সেগুলির সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফির দাবিতে ইতিমধ্যেই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে। সেই মামলায় রায় ঘোষণার আগেই ইদগাহ থেকে ‘হিন্দুত্বের প্রমাণ’ নষ্ট করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে অবিলম্বে পুরো চত্বরটি সিল করার দাবিতে গত মঙ্গলবার একটি আবেদন জানানো হয় মথুরা আদালতে। আবেদনটি গ্রহণ করে মথুরা আদালত জানিয়েছে, আগামী ১ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে মথুরার আদালতে রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী ছ’জন কৃষ্ণভক্তের তরফে ‘ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমান’-এর নামে দায়ের হওয়া দেওয়ানি মামলায়, ‘শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি’-র ১৩.৩৭ একরের অধিকার এবং সেখানে অবস্থিত সপ্তদশ শতকের শাহি ইদগাহ মসজিদ সরানোর আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদন নিম্ন আদালত খারিজ করে দেওয়ার পরে জেলা বিচারকের কাছে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়।