Kiren Rijiju

Kiren Rijiju: ভারতীয় বিচার বিভাগ সবচেয়ে স্বাধীন: রিজিজু

বিচারকদের উপরে হামলা ও বিচারপতিদের জীবন সম্পর্কে ভুল ধারণা প্রচার নিয়েও সরব হয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২২ ০৭:৩৭
Share:

ফাইল চিত্র।

বিভিন্ন মামলায় বৈদ্যুতিন ও সমাজমাধ্যমে ‘একপেশে আদালত’ বসানো ও বিচারপতিদের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো নিয়ে গত কাল সরব হয়েছিল প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা। আজ সেই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর দাবি, ভারতের মতো স্বাধীন বিচার বিভাগ আর কোথাও নেই।

Advertisement

সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার মন্তব্য নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কড়া সমালোচনার পরে সমাজমাধ্যমে বিচারপতিদের নিশানা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা স্পর্শকাতর মামলার ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিন ও সমাজমাধ্যমের উপরে নিয়ন্ত্রণ চেয়ে সরব হন। গত কাল খোদ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘টিভি চ্যানেলের বিতর্ক সভায় বসা একপেশে আদালত (ক্যাঙ্গারু কোর্ট) ও সমাজমাধ্যম দেশকে পিছন দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি না জেনে কেবল নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যপূরণের জন্য বিতর্ক গণতন্ত্রের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’’ প্রধান বিচারপতির মতে, ‘‘সমাজমাধ্যমে বিচারপতিদের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হচ্ছে।’’ তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘বিচারপতিরা হয়তো তখনই জবাব দিচ্ছেন না। কিন্তু সেটাকে দুর্বলতা বা অসহায়ত্ব ভাববেন না।’’ তাঁর মতে, ‘‘নতুন মাধ্যমের হাতিয়ারগুলির মাধ্যমে যে কোনও বিষয় নিয়ে চড়া সুরে প্রচার চালানো যায়। কিন্তু যাঁরা নতুন মাধ্যম ব্যবহার করছেন তাঁরা ঠিক ও ভুল, ভাল ও মন্দ, আসল ও ভুয়ো বিচার করতে পারেন না। এমন সব বিষয়ে টিভি চ্যানেলের বিতর্ক সভায় একপেশে আদালত চালানো হচ্ছে যেগুলি নিয়ে রায় দেওয়া অভিজ্ঞ বিচারপতিদের পক্ষেও কঠিনহয়ে দাঁড়ায়।’’

আজ এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রিজিজু বলেন, ‘‘বৈদ্যুতিন ও সমাজমাধ্যম সম্পর্কে প্রধান বিচারপতি রমণার মন্তব্য ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁর পর্যবেক্ষণ। কেউ চাইলে আমরা প্রকাশ্যে এ নিয়ে আলোচনা করতে পারি। উনি যা বলেছেন তা নিয়ে আমি এখনই মন্তব্য করতে চাই না।’’

Advertisement

রিজিজুর বক্তব্য, ‘‘ভারতীয় বিচারপতি ও বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। আমি স্পষ্ট ভাষায়বলতে চাই ভারতের চেয়ে স্বাধীন বিচারপতি বা বিচার বিভাগ বিশ্বের কোথাও নেই।’’

বিচারকদের উপরে হামলা ও বিচারপতিদের জীবন সম্পর্কে ভুল ধারণা প্রচার নিয়েও সরব হয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মতে, ‘‘মানুষের ধারণা যে বিচারপতিরা খুব আরামে থাকেন। কেবল সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটে অবধি কাজ করেন ও ছুটি কাটান। এটা ভুল ধারণা। যখন বিচারপতিদের জীবন সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি করা হয় তখন তা মেনে নেওয়া কঠিন হয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement