K. K. Venugopal

‘বিক্ষোভে মদত খলিস্তানিদের’

সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র এই দাবি করার পরেই বিরোধী শিবির থেকে কৃষক সংগঠনগুলি প্রশ্ন তুলেছে, কিসের ভিত্তিতে সরকার এই দাবি করছে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:২৬
Share:

ফাইল চিত্র।

এত দিন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা বলছিলেন। এ বার কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল সুপ্রিম কোর্টে জানালেন, কৃষকদের আন্দোলনে খলিস্তানিরা ঢুকে পড়েছে। বেণুগোপাল জানান, এ বিষয়ে আইবি-র রিপোর্ট-সহ কেন্দ্র শীর্ষ আদালতে হলফনামা দেবে।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র এই দাবি করার পরেই বিরোধী শিবির থেকে কৃষক সংগঠনগুলি প্রশ্ন তুলেছে, কিসের ভিত্তিতে সরকার এই দাবি করছে? তথ্যের অধিকার আইনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে প্রশ্ন পাঠিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। কৃষি আইন নিয়ে শুনানিতে কৃষি আইনের পক্ষে থাকা একটি কৃষক সংগঠনের হয়ে আইনজীবী পি এস নরসিংহ জানান, কিছু নিষিদ্ধ সংগঠন কৃষক আন্দোলনে মদত দিচ্ছে। ‘শিখস ফর জাস্টিস’ সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নরসিংহ জানান, এর ফলে কৃষকদের প্রতিবাদ বিপজ্জনক হতে পারে। বেণুগোপালের কাছে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, সরকার এই বিষয়টি কি মানছে না অস্বীকার করছে?

বেণুগোপাল বলেন, ‘‘আমরা বলেছি, খলিস্তানিরা কৃষকদের আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করেছে। আমরা আগামিকাল এ বিষয়ে হলফনামা জমা করতে পারি।’’ প্রধান বিচারপতি রায়ে বলেছেন, এখনও পর্যন্ত আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ভাবে চললেও, তাতে কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ রকম ঘটলে সেখান থেকে অশান্তি তৈরির আশঙ্কা থাকছে।

Advertisement

কেন্দ্র আজ আদালতে বলেছে, দিল্লি পুলিশ সুপ্রিম কোর্টে ২৬ জানুয়ারি কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করার আর্জি জানিয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে গণ্ডগোল হলে তা জাতীয় লজ্জা। কৃষক সংগঠনগুলি আজ শুনানিতে অংশ নেয়নি। তা সত্ত্বেও আদালত এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিস জারি করেছে। কৃষক নেতাদের বক্তব্য, সরকার এ বিষয়ে ভুল ধারণা তৈরির চেষ্টা করছে। ২৬ জানুয়ারি কৃষকেরা দিল্লিতে ট্র্যাক্টর মিছিল করবেন ঠিকই। কিন্তু তাঁরা ইন্ডিয়া গেটের সামনে রাজপথ বা লালকেল্লা দখল করবেন না।

বিজেপির বক্তব্য, রবিবারই হরিয়ানায় মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের ডাকা কিসান মহাপঞ্চায়েতে হাঙ্গামা হয়েছে। শুক্রবার খট্টর দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট আজ আইনে স্থগিতাদেশ দেওয়ার পরে খট্টর ও হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্যন্ত চৌটালা ফের শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন। হরিয়ানায় জননায়ক জনতা পার্টির নেতা চৌটালার উপরে বিজেপি থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের জন্য চাপ তৈরি হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement