লোকসভায় বক্তব্য রাখছেন অধীর চৌধুরী (বাঁ দিকে)। রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখছেন মল্লিকার্জুন খড়্গে। ছবি: সংগৃহীত।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে ‘মৌনমোহন’ বলে কটাক্ষ করা হলেও তিনি ‘মৌন’ ছিলেন না বলে দাবি করলেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। বললেন, “তিনি কথা কম বলতেন, কাজ বেশি করতেন।” অন্য দিকে, পরিসংখ্যান তুলে ধরে রাজ্যসভায় খড়্গে জানান, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং মনমোহন সিংহ সংসদে যথাক্রমে ২১ বার এবং ৩০ বার বিবৃতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী বিবৃতি দিয়েছেন মাত্র দু’বার। মোদীর বাকি সমস্ত বক্তব্যই প্রথামাফিক বলে দাবি করেন খড়্গে।
দেশে বৈচিত্রের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখতে সরকারকে আর্জি জানালেন লোকসভার তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “এই দেশে বিভেদের মাঝে ঐক্যের ধারাটা চিরপ্রবাহমান। এই ভাবনাটা বজায় রাখতে হবে।” দেশের নাম সংক্রান্ত বিতর্কের আবহে সুদীপ বলেন, “আমাদের ‘ভারত’ এবং ‘ইন্ডিয়া’, দু’টি নামেই কোনও আপত্তি নেই।” তবে নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশের আগে দেশের নামের অর্থ বোঝা উচিত বলে জানিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রের উদ্দেশে মল্লিকার্জুন খড়্গে রাজ্যসভায় বললেন, “রাজনীতির গতিপথ বদলানো প্রয়োজন। শুধু নতুন সংসদ ভবনে অধিবেশন সরিয়ে নিয়ে নতুন কিছু ঘটবে না।”
নিজেদের বক্তব্যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরু প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন লোকসভার দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী এবং রাজ্যসভার বিরোধী নেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। অধীর বলেন, “নেহরু সর্বদা বিরোধীদের কথা শুনতেন।” অন্য দিকে, সদ্য স্বাধীনতা পাওয়া দেশে আধুনিক গণতন্ত্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য নেহরুকে ধন্যবাদ জানান খড়্গে। এর পাশাপাশি নেহরু আমলের সঙ্গে মোদী আমলের তুলনা টেনে খড়্গে জানান, নেহরু বিশ্বাস করতেন যে, শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকলে গণতন্ত্রও শক্তিশালী হবে না। কিন্তু এখন শক্তিশালী বিরোধীপক্ষ থাকলেও ইডি, সিবিআইয়ের মাধ্যমে তাদের দুর্বল করার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করলেন খড়্গে।