আগেও বিজেপি রাজ্য সভাপতি পদে দায়িত্ব সামলেছিলেন কেশবপ্রসাদ মৌর্য। ছবি পিটিআই।
উত্তরপ্রদেশে বিজেপি নেতৃত্বে রদবদল ঘটছে? যোগী আদিত্যনাথের ‘ডেপুটি’ কেশব প্রসাদ মৌর্যের এক টুইট ঘিরে এমন জল্পনাই দানা বেঁধেছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে।
‘সরকারের থেকে সংগঠন বড়’— রবিবার টুইটারে এ কথাই লেখেন উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। তা হলে কি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে আবারও সংগঠনে জোর দিতে চলেছেন কেশব? বিজেপি রাজ্য সভাপতির ভূমিকায় কি আবারও দেখা যাবে তাঁকে? এই প্রশ্ন ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
লক্ষণীয়, বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি পদে আসীন স্বতন্ত্র সিংহ ওবিসি সম্প্রদায়ের। মৌর্যকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি করা হলে এক ওবিসি নেতার জায়গায় আরও এক ওবিসি নেতা এই পদে বসবেন। যদিও রবিবার কেশবের বার্তার কী উদ্দেশ্যে, তা স্পষ্ট নয়। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজ্যে সাংগঠনিক স্তরে রদবদলের পথে হাঁটছে গেরুয়া শিবির। বিহারে নীতীশ কুমারের জেডিইউ-র কৌশলী চালের পর পদ্মশিবিরের এ হেন পদক্ষেপ আলাদা ‘তাৎপর্য’ পেয়েছে। সেই আবহে মৌর্যের এই ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। আবার, সরকারের মন্ত্রিসভায় দায়িত্বভারের বদলে দলের কাজে মনোনিবেশের ইচ্ছাপ্রকাশ করতেই এই বার্তা দিয়েছেন মৌর্য, এ কথাও বলছেন অনেকে।
বস্তুত, ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ‘বড়’ জয়ের সময় দলের রাজ্য সভাপতি ছিলেন মৌর্যই। তার পরই যোগী সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভায় তাঁকে ‘ডেপুটি’ করা হয়। দ্বিতীয় যোগী সরকারেও এই সিদ্ধান্তে নড়চড় হয়নি। মৌর্য এবং ওবিসি সম্প্রদায়কে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে গেরুয়া শিবির, এই সিদ্ধান্ত তারই এক নিদর্শন বলে মনে করা হয়েছে।
আদিত্যনাথের দুই ‘ডেপুটি’ রয়েছেন। মৌর্যের পাশাপাশি উপমুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন ব্রাহ্মণ নেতা ব্রজেশ পাঠক। নতুন রাজ্য বিজেপি সভাপতির দৌড়ে নাম উঠে এসেছে দীনেশ শর্মারও। তিনিও ব্রাহ্মণ নেতা। প্রথম যোগী সরকারের আমলে দীনেশও উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।
সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বাছাই নিয়ে ভেবেচিন্তেই এগোচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সে রাজ্যে নির্বাচনী সাফল্যের জন্য সরকার ও সংগঠনের মধ্যে সমন্বয়কে বরাবর গুরুত্ব দিয়ে এসেছে পদ্মশিবির। ২০২৪ সালের নির্বাচনেও যাতে উত্তরপ্রদেশের মাটিতে বিজেপির ভিত একই রকম ভাবে শক্ত থাকে, সে দিকে জোর দিচ্ছেন নেতৃত্ব। এই প্রেক্ষাপটে মৌর্যের টুইট বাড়তি তাৎপর্য পেয়েছে।