সাজিথা ও রহমান ছবি সৌজন্যে টুইটার।
১১ বছর আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন কেরলের পলাক্কাড়ের আয়ালুর গ্রামের তরুণী সাজিথা। সম্প্রতি পাওয়া গিয়েছে তাঁকে। তার পরেই সবাই জানতে পেরেছেন, পাশের বাড়িতেই প্রেমিকের সঙ্গে ১১ বছর ধরে লুকিয়ে ছিলেন সাজিথা। এমনকি প্রেমিকের পরিবারের কেউ জানতেন না যে তাঁদের বাড়িতে সাজিথা লুকিয়ে রয়েছেন।
সাজিথার প্রেমিকের নাম আলিনচুভাত্তিল রহমান। দু’জন আলাদা ধর্মের হওয়ায় সম্পর্কের কথা গোপন রেখেছিলেন তাঁরা। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান ১৮ বছরের সাজিথা। পুলিশ অনেক খুঁজেও তাঁর কোনও সন্ধান পায়নি। রহমানের সেই সময় বয়স ২৪ বছর। কেউ সন্দেহই করেনি যে পাশের বাড়িতেই তরুণী রয়েছেন।
রহমানের দাদা বশীর জানিয়েছেন, বাড়িতে একটা আলাদা ঘরে থাকতেন রহমান। সব সময় সেই ঘর বন্ধ রাখতেন তিনি। রঙের মিস্ত্রির কাজ করেন রহমান। বশীর বলেন, ‘‘রহমান মাঝে মধ্যেই মানসিক রোগীদের মতো ব্যবহার করত। কেউ ওর ঘরে ঢোকার চেষ্টা করলে রেগে যেত। বেশির ভাগ সময় নিজের ঘরেই খাবার নিয়ে গিয়ে খেত।’’
আয়ালুরের পঞ্চায়েত সদস্য পুষ্পকরণ জানিয়েছেন, জানলা দিয়ে রাতের বেলা প্রাতঃকৃত ও স্নান করতে বেরোতেন সাজিথা। বাকি সময় ঘরের ভিতরে হেডফোন দিয়ে টিভি দেখেই সময় কাটত তাঁর। গ্রামের সবাই সাজিথার কথা ভুলেই গিয়েছিল।
সম্প্রতি রহমানের জন্য পাত্রী দেখা শুরু করে তাঁর পরিবার। আপত্তি না করলেও এই নিয়ে আগ্রহ দেখাতেন না তিনি। মাস তিনেক আগে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান রহমান। অন্য দিকে সাজিথাও তার আগে সেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তাঁদের খোঁজ করতে গিয়ে মঙ্গলবার বশীর দেখতে পান অন্য একটি গ্রামে একসঙ্গে রয়েছেন দু’জনে। তার পরেই পুরো ঘটনা সামনে আসে।
দু’জনকেই একটি স্থানীয় আদালতে তোলা হলে রহমান ও সাজিথা জানান তাঁরা এক সঙ্গে থাকতে চান। দু’জনেরই ইচ্ছা থাকায় বিচারক তাঁদের একসঙ্গে থাকার অনুমতি দিয়েছেন।