প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
চিকিৎসকের গাফিলতিতেই রোগীর মৃত্যু, এমনই অভিযোগ তুলে সরকারি হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখাল মৃতার পরিবার। তাদের অভিযোগ, চিকিৎসকের দেওয়া ভুল ইঞ্জেকশনের কারণে পাঁচ দিন জ্ঞান ছিল না। তার পর হাসপাতালে মারা যান তিনি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাসপাতাল চত্বরে।
কেরলের বাসিন্দা বছর ২৮-এর কৃষ্ণা থাঙ্কাপ্পান নামে এক মহিলা দিন কয়েক আগে অসুস্থ হয়ে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচ দিন আগে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তাঁকে একটা ইঞ্জেকশন দেন। পরিবারের দাবি, তার পরই জ্ঞান হারান কৃষ্ণা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে কিডনিতে পাথরের চিকিৎসার জন্য কৃষ্ণাকে নেয়াত্তিঙ্করা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।
কৃষ্ণার স্বামী শরতের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে নেয়াত্তিঙ্করার পুলিশ। এফআইআর অনুসারে, কিডনিতে পাথরের পাশাপাশি কৃষ্ণার অ্যালার্জির সমস্যাও ছিল। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসক তাঁর দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। তিনি অ্যালার্জির পরীক্ষা না করেই কৃষ্ণাকে কিছু ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন।
যদিও কেরলের সরকারি মেডিক্যাল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (কেজিএমওএ) মৃতার পরিবারের সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। কেজিএমওএ বিবৃতি দিয়ে জানায়, ওই চিকিৎসক যে ইঞ্জেকশন দিয়েছেন, তা পেট-সম্পর্কিত সমস্যায় ভুগলে দেওয়া হয়ে থাকে। এটা খুবই স্বাভাবিক। একে কোনও ভাবেই চিকিৎসকের গাফিলতি বলে বলা যাবে না।