Kerala Crime News

একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ! কেরলে টিউশন শিক্ষককে ১১১ বছরের কারাদণ্ড, জরিমানাও

কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে ২০১৯ সালে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে টিউশন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পাঁচ বছর পর শুনানি শেষে সেই মামলায় সাজা শোনাল ফাস্ট ট্র্যাক আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৪৯
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

কেরলে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে টিউশন শিক্ষককে ১১১ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত। করা হল জরিমানাও। জরিমানা না-দিতে পারলে তাঁর কারাদণ্ডের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়বে।

Advertisement

কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের ঘটনা। ২০১৯ সালে সেখানে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে টিউশন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ছাত্রীকে তিনি বিশেষ ক্লাসের নাম করে নিজের বাড়িতে ডেকেছিলেন বলে অভিযোগ। ধর্ষণের ঘটনা ভিডিয়ো রেকর্ডও করেছিলেন নিজের মোবাইলে। পাঁচ বছর ধরে মামলার শুনানি চলেছে। অবশেষে তিরুঅনন্তপুরমের ফাস্ট ট্র্যাক আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সরকারি চাকরি করতেন। পাশাপাশি টিউশনও করতেন। অভিযোগ, বিশেষ ক্লাসের নাম করে ছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ করেন তিনি। ঘটনার পর ওই ছাত্রী টিউশনে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। তার পর তার ছবি এবং ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরালও করে দেন অভিযুক্ত। ছাত্রীর পরিবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। যদিও তদন্তকারীদের ভুল তথ্য দিয়ে তিনি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু তাঁর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরেই দোষ প্রমাণ করে দেন ছাত্রীর পক্ষের আইনজীবীরা।

Advertisement

নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা জানতে পেরে অভিযুক্তের স্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন। তিরুঅনন্তপুরমের ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক আর রেখা তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। ১১১ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি অভিযুক্তকে ১.০৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও দিতে বলা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement