ছবি: কেরল পুলিশের টুইটার হ্যান্ডল থেকে সংগৃহীত।
এক পাঁচ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগে উত্তাল কেরল। ওই ঘটনায় সামাজমাধ্যমে দুঃখপ্রকাশ করল পিনারাই বিজয়ন সরকারের পুলিশ। সমাজমাধ্যমে তারা লিখল, ‘‘সরি ডটার’’। পুলিশের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে, নাবালিকাকে বাঁচানোর তাদের সব রকম চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তাকে নিরাপদে বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিতে পারেনি পুলিশ। এ জন্য তারা ক্ষমাপ্রার্থী।
শুক্রবার থেকে নিরুদ্দেশ ছিল এর্নাকুলাম জেলার এক নাবালিকা। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে তার পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সারা রাত বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। ছোট্ট মেয়েটিকে শেষ পর্যন্ত পেয়েও যায় তারা। কিন্তু তত ক্ষণ আর তার দেহে প্রাণ ছিল না। অলুভার একটি বাজারের একটি জলা জায়গা থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। রাতেই মূল অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে পেরেছে পুলিশ। কিন্তু ছোট্ট মেয়েটিকে বাঁচাতে না পেরে আক্ষেপ যাচ্ছে না পুলিশের। শনিবার কেরল পুলিশের তরফে সমাজমাধ্যমে লেখা হয়, ‘‘সুস্থ অবস্থায় ওকে ওর বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার যাবতীয় প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। যে সন্দেহভাজন শিশুটিকে অপহরণ করেছিল বলে অভিযোগ, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
একাধিক প্রতিবেদনে প্রকাশ, বিহারের এক দম্পতি কর্মসূত্রে থাকেন কেরলের এর্নাকুলমে। তাদের একমাত্র কন্যাকে অপহরণ করা হয়। বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি দেখে অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। অপহৃতকে মৃত অবস্থায় খুঁজে পাওয়া যায়। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে কেরলের এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘ডাক্তারি পরীক্ষা থেকে প্রাথমিক ভাবে আমরা অনুমান করছি মেয়েটিকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করা হয়। অভিযুক্ত পেশায় এক জন শ্রমিক। তিনিও বিহারের বাসিন্দা। এবং মৃতার বাড়ির পাশেই তাঁর বাড়ি।’’ যদিও অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তেমন বিস্তারিত ভাবে কোনও তথ্য পাচ্ছে না পুলিশ। কারণ, তাঁকে মত্ত অবস্থায় গ্রেফতার করে পুলিশ।
অন্য দিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতর তুঙ্গে। কেরলের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের অভিযোগ, জঘন্য সব অপরাধ দমন করতে বাম সরকার ব্যর্থ। পুলিশি অদক্ষতার অভিযোগ করেছে তারা। পাশাপাশি, কেরলে মাদক এবং মদের রমরমা বাড়ছে বলেও অভিযোগ করছে তারা।