কেরল হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগকে ধর্ষণ বলা যাবে না। শুক্রবার একটি মামলায় এমনই রায় দিল কেরল হাই কোর্ট।
এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে তাঁর প্রেমিকা ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। তাঁর দাবি, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক বার তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছেন প্রেমিক। কিন্তু চার বছর সম্পর্কের পর এখন বিয়ে করতে বেঁকে বসেন ওই আইনজীবী। মামলা দায়ের হয় আদালতে। অন্য দিকে, আগাম জামিনের আবেদন করে হাই কোর্টে যান অভিযুক্ত আইনজীবী।
শুক্রবার সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে কেরল হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, বিনা সম্মতিতে কিংবা জোর করে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হলে তাকে ধর্ষণ বলা হয়। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক দু’জন মানুষ নিজেদের ইচ্ছায় যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে তাকে কোনও ভাবে ধর্ষণ বলা যায় না। কেরল হাই কোর্টের বিচারপতি বেচু কোরিয়ান টমাসের পর্যবেক্ষণ, ‘‘দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক সঙ্গী তাঁদের ইচ্ছায় যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতেই পারেন। কিন্তু পরে একে কোনও ভাবে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণের মামলায় ফেলা যায় না। প্রতারণা বা মিথ্যা কোনও পরিচয় দিয়ে এই সম্পর্ক করলে সেটা অন্য কথা।’’
এর পর বিচারপতির সংযোজন, ‘‘যদি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করা হয় এবং পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করা হয়, তাকেও ধর্ষণ বলা যায় না।’’